এবার হৃদ্রোগের চিকিৎসায় থ্রিডি প্রিন্টিং প্রযুক্তি

সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৫

বলার অপেক্ষা রাখে না, হৃদ্রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। হৃৎপিণ্ডে অস্ত্রোপচার আরও নিরাপদ 3dহতো, যদি শল্যচিকিৎসক রোগীর অঙ্গটির একটি বাস্তব নমুনা দেখতে ও অনুভব করতে পারতেন।
প্রযুক্তির কল্যাণে এ কাজটিও এবার সম্ভব হতে চলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) ও বোস্টন শিশু হাসপাতালের একদল গবেষক এই সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। এমআরআই স্ক্যানকে মূল নকশা হিসেবে ব্যবহার করে এই প্রযুক্তিতে মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যে রোগীর হৃৎপিণ্ডের একটি নমুনা ডাক্তারের হাতে দেওয়া সম্ভব। এটা হবে ত্রিমাত্রিক (থ্রিডি) প্রিন্টার দিয়ে। এই প্রিন্টার দিয়ে এমআরআই স্ক্যান থেকে হৃৎপিণ্ডের নমুনা বা মডেল তৈরি করা হবে।
যখন রোগী কোনো অঙ্গের এমআরআই স্ক্যান করান, যন্ত্রটি তখন নির্দিষ্ট অঙ্গটির প্রস্থচ্ছেদের শত শত ছবি তোলে। এই ছবি থেকে অঙ্গটির ত্রিমাত্রিক নমুনা তৈরির কাজটা বেশ জটিল হয়ে পড়ে। অঙ্গটির প্রতিটি অংশের দেয়ালের মধ্যবর্তী ব্যবধান কত তা ঠিকঠাকভাবে জানতে হয়, প্রতিটি অংশ যাতে আলাদাভাবে চেনা যায়, সেটাও নিশ্চিত করতে হয়।
কিন্তু প্রতিটি অংশ আলাদাভাবে স্ক্যান করতে গেলে হৃৎপিণ্ডের দুই শতাধিক ছবি নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে, যাতে প্রায় ১০ ঘণ্টার মতো সময় ব্যয় হয়। এই কাজটিকে সহজ করতে স্ক্যান করামাত্র আটটি ছবি নিয়ে ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই কাজটা করা সম্ভব। এরপর একে থ্রিডি প্রিন্টারে তৈরি করতে সময় লাগে আরও দুই ঘণ্টা।
তবে এই প্রযুক্তি এখনো পুরোদমে ব্যবহারের উপযোগী হয়নি। বোস্টন শিশু হাসপাতালের সাতজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এর খুঁটিনাটি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছেন। আশার কথা হলো, এই প্রযুক্তি বাস্তবে ব্যবহার করা গেলে বাঁচবে সময় আর হৃদ্রোগের চিকিৎসা হবে আরও নিরাপদ।
সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৫

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.