ভারতের আন্তঃনদী সংযোগে সর্বনাশ । । হায়দার আকবর খান রনো

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৫

14ভারতের বিজেপি সরকার আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য নতুন করে উদ্যোগ নিয়েছে। এ প্রকল্প যে বাংলাদেশকে পানিশূন্য মরুভূমিতে পরিণত করবে এবং বাংলাদেশের এত বড় সর্বনাশ হবে জেনেও ভারত এ সর্বনাশা প্রকল্প বাস্তবায়নে জোর ঘোষণা দিয়ে চলেছে। বস্তুত আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ভারত এ কাজ করতে পারে না। কিন্তু ভারত কোনো গ্রাহ্য করছে না। ভারত আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র। ১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সাহায্য আমরা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, ভারত বন্ধুত্বের দোহাই দিয়ে এত বড় সর্বনাশ করবে। তা তারা করতে পারে না। নৈতিকভাবেও নয়। আন্তর্জাতিক আইনেও নয়। এটা করলে তা হবে অপরাধ। ভারতের বর্তমান ও আগের সরকার বারবার বলে এসেছে, বাংলাদেশের ক্ষতি হয় এমন কিছু তারা করবেন না। কিন্তু ভয়াবহ ক্ষতিসাধন করেই চলেছেন। প্রথমে ফারাক্কা বাঁধ দিয়ে বাংলাদেশের একদফা সর্বনাশ করেছিল। সেই সময় মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী ঐতিহাসিক ফারাক্কা মিছিল করে জনগণকে এর বিরুদ্ধে সচেতন করে তুলেছিলেন। এরপর বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো চুক্তি বা সমঝোতা না করেই তিস্তার পানি প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তবু তারা বলছেন, বাংলাদেশের কোনো ক্ষতি করবেন না। আর সেই মিষ্টি কথায় বাংলাদেশ সরকার চুপ করে বসে আছে। সামান্য প্রতিবাদটুকুও করছে না।

ইতিপূর্বে তিস্তার পানি প্রত্যাহার প্রসঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিদিনের পাতায় কলাম লিখেছিলাম। এখন যা দেখছি ও শুনছি তা আরও মারাত্দক। আরও বড় সর্বনাশা। ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প যদি সত্যিই বাস্তবায়িত হয় তাহলে বাংলাদেশের ভূবৈচিত্র্যই বদলে যাবে। বাংলাদেশের এত বড় সর্বনাশ কল্পনাই করা যায় না।

আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পটি কী তা সংক্ষেপে বর্ণনা করা দরকার। আমি লক্ষ করেছি, সাধারণ মানুষ, এমনকি অনেক লেখাপড়া জানা মানুষও এ সম্পর্কে জ্ঞাত নয়। অথচ আমাদের জীবনের জন্য এর চেয়ে বড় হুমকি আর কিছু হতে পারে না।

সংক্ষেপে ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প হচ্ছে একটি বিশালাকার প্রকল্প যার দ্বারা বিভিন্ন নদীর মধ্যে খাল দ্বারা সংযোগ স্থাপন করে এদিককার পানি ওদিকে নেওয়ার একটি মহাপ্রকল্প। অবশ্য মহা শব্দটি ব্যবহার না করে দানবীয় প্রকল্প বলাটাই বোধহয় সঙ্গত। সংক্ষেপে গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রের পানি নিয়ে যাওয়া হবে দক্ষিণ ও পশ্চিম ভারতে। এভাবে সুদূর দক্ষিণে নদীর পানির সরবরাহ বাড়বে আর রাজস্থানের মরুভূমিকে শ্যামল করার প্রচেষ্টা নেওয়া হবে। ভারতের অভ্যন্তরীণ নদীসংযোগ নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা কেন? কারণ এ গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র আমাদের দেশ দিয়ে প্রবাহিত। আমাদের পানিশূন্য করে ভারত এমন প্রকল্প নিতে পারে না। এটা অন্যায়। এটা অপরাধ। এটা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। অধিকতর শক্তিশালী দেশ বলে ভারত যদি রাজস্থানকে শ্যামল করার জন্য বাংলাদেশকে মরুভূমিতে পরিণত করে, তবে তার চেয়ে বড় অপরাধ আর কী হতে পারে?

এ প্রকল্পের অধীনে ৩০টি সংযোগকারী খাল খননের প্রস্তাব আছে। ছোট-বড় মিলিয়ে ৩৪টি বাঁধ দেওয়া হবে। খালগুলোর মোট দৈর্ঘ্য ১২ হাজার কিলোমিটার। প্রত্যেকটির গড় দৈর্ঘ্য ৪০০ কিলোমিটার। খালগুলোর প্রস্থ ৫০ থেকে ১০০ কিলোমিটার। গভীরতা ছয় মিটার। এক কথায় অনেক নতুন কৃত্রিম খাল তৈরি করা হবে। উত্তর-পূর্ব ভারতের আসামের পানি টেনে নিয়ে যাওয়া হবে সুদূর দক্ষিণ ও পশ্চিমে। প্রথমে ব্রহ্মপুত্রের সঙ্গে গঙ্গার সংযোগ। তারপর দুই বড় নদীর পানি নিয়ে যাওয়া হবে দক্ষিণে ও পশ্চিমে। ব্রহ্মপুত্র আবার গঙ্গার চেয়ে বেশ নিচু দিয়ে প্রবাহিত। অর্থাৎ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ব্রহ্মপুত্রের পারের যে উচ্চতা তার চেয়ে গঙ্গার পারের উচ্চতা অনেক বেশি। সে জন্য ব্রহ্মপুত্রের পানিকে প্রথমে একাধিক বাঁধ দিয়ে একশ মিটার উপরে তোলা হবে। সেটা করা হবে পাঁচটি ধাপে। তারপর সেই পানি ফেলা হবে অন্যান্য কয়েকটি নদীতে, যা আবার সংযোগ খালের মাধ্যমে গঙ্গায় গিয়ে পড়বে। গঙ্গায় এভাবে যে অতিরিক্ত পানি আসবে তা যাবে রাজস্থানে ও দাক্ষিণাত্যে। এক উদ্ভট ও অদ্ভুত প্রকল্প। ভারত সরকার তার নিজের দেশে যা খুশি করতে পারে। যদি সেই দেশের জনগণের সম্মতি থাকে। কিন্তু কোনোক্রমেই বাংলাদেশকে বঞ্চিত করে এত বড় সর্বনাশা পাগলামি করার অধিকার তাদের নেই। অবশ্যই বাংলাদেশের সরকারকে তীব্র ভাষায় আপত্তি জানাতে হবে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়েও চাপ সৃষ্টি করতে হবে, যাতে ভারত বাংলাদেশের এত বড় সর্বনাশ না করতে পারে।

এ প্রকল্পের কাজ খানিকটা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। ভারতের সরকারও কাজ সম্পন্ন করার ঘোষণা দিচ্ছে। আমার আরও অবাক লাগে এটা জেনে যে, ভারতের সুপ্রিমকোর্ট পর্যন্ত তাগিদ দিয়েছেন ২০১৭ সালের মধ্যে এ প্রকল্প সম্পন্ন করার। প্রতিবেশী বাংলাদেশের কী হতে পারে, সেটুকু ভাবার অবকাশ পর্যন্ত পাননি গণতান্ত্রিক ভারতের সুপ্রিমকোর্ট। এমনকি এটা যে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হচ্ছে, সুপ্রিমকোর্ট সেটাও বিবেচনায় নেননি। অদ্ভুত বৃহৎ শক্তির উগ্র মানসিকতা। ভারতের সুপ্রিমকোর্টও তার বাইরে নয়।

বাংলাদেশের ক্ষতি যে ভয়াবহ রকমের হবে, তা বোধহয় বিশেষ ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন নেই। তবু সংক্ষেপে দুই একটি পয়েন্ট উল্লেখ করা দরকার। সংক্ষেপে এ প্রকল্পের ফলে ভাটির দেশ বাংলাদেশ থেকে পানি প্রত্যাহার করা হবে। ফারাক্কা পয়েন্টে গঙ্গার পানি প্রত্যাহারের কারণে ইতিমধ্যেই অনেক নদী শুকিয়ে গেছে। লবণাক্ততা বেড়েছে। সুন্দরবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। এখন আবার তিস্তার উজানে বাঁধ দিয়ে বাংলাদেশ দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার শুষ্ক মৌসুমে প্রবাহ এত কমে গেছে যে, বিশাল তিস্তায় এখন বালি ধু ধু করে। এরপর যদি ভারতের সেই মারাত্দক প্রকৃতিবিধ্বংসী নদী সংযোগ বাস্তবায়িত হয় তাহলে ব্রহ্মপুত্রের পানি প্রবাহ থেকে আমরা বঞ্চিত হব এবং শস্য শ্যামলা বাংলাদেশ অচিরেই মরু দেশে পরিণত হবে। নদীমাতৃক বাংলাদেশ আর থাকবে না। মাছ-ভাতের বাঙালির আবহমানকালের সেই বৈশিষ্ট্য কেবল ইতিহাসের পাতার মধ্যেই থাকবে। একটা কথা বলা হয় যে, বাংলাদেশের পানি প্রবাহ নাকি প্রয়োজনের তুলনায় বেশি। গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র ও অন্যান্য নদী দিয়ে প্রবাহিত পানি শেষ পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে গিয়ে পড়ে। পানির অপচয় হয়। কথাটা ঠিক নয়। আমাদের পানির প্রয়োজন কেন এবং কেনইবা এটা অপচয় নয়, তা ভারতীয় বিজ্ঞানীরা এমনকি প্রয়াত রাষ্ট্রপতি বিজ্ঞানী এ পি জে আবদুল কালাম অথবা ভারতের বিজ্ঞ সুপ্রিমকোর্ট পর্যন্ত ভেবে দেখার চেষ্টা করেননি। আমাদের দেশ দিয়ে যে পানি প্রবাহিত হয় তা দরকার আছে কয়েকটি কারণে। প্রথমত. এই প্রবাহ জোরদার থাকার কারণে উপকূলবর্তী এলাকায় জোয়ারের লবণাক্ত পানি বেশিদূর ভিতরে আসতে পারে না। ভারতের সর্বনাশা প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে লবণাক্ত পানি মধ্য বাংলা এমনকি সিলেট পর্যন্ত উঠে আসবে। ফলে ধানসহ শস্য চাষ করা যাবে না। নদীর নাব্য রক্ষার জন্য, জোয়ারের পানি ঠেকানোর জন্য আমাদের নদীর পানির যথেষ্ট প্রবাহ অতীব প্রয়োজন। এটা আমাদের অস্তিত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত।

নদীতে পানির প্রবাহ কমে গেলে বন্যায় যে পলিমাটি পড়ে, যে কারণে আমাদের মাটি এত উর্বর তাও আর থাকবে না। উপরন্তু ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে দ্রুত মরু প্রক্রিয়া শুরু হবে। আমরা প্রতি বছর নলকূপের মাধ্যমে এবং ধান চাষের প্রয়োজন ও অন্যান্য কারণে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার করি। এ কারণে প্রতি বছর গড়ে পাতাল পানি পাঁচ মিটার নিচে নেমে যায়। তা দ্রুত রিচার্জ হয় দুইভাবে। বৃষ্টিপাতের কারণে এক মিটার পানি রিচার্জ হয় এবং বর্ষার কারণে নিচু জমি ও জলাভূমি প্লাবিত হওয়ায় চার মিটার রিচার্জ হয়। ভারত যদি আগেই আমাদের পানি টেনে নিয়ে যায় তাহলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তরও নিচে নেমে যাবে। সবুজ বাংলাদেশ মরুভূমি হতে বেশি দেরি হবে না।

বাংলাদেশে পানির ক্ষেত্রে নদী প্রবাহের অবদান ৭৬.৫ শতাংশ, বৃষ্টিপাত ২৩ শতাংশ এবং ভূগর্ভস্থ পানির অবদান ১.৫ শতাংশ। নদী প্রবাহের ক্ষেত্রে তিনটি নদীর অবদান ৯০ শতাংশ- ব্রহ্মপুত্র, পদ্মা, মেঘনা। তার মধ্যে ব্রহ্মপুত্র ও তার শাখা নদী যমুনার অবদান ৬০ শতাংশের বেশি। গঙ্গার পানি ভারত ইতিপূর্বেই সরিয়ে নিয়েছিল। তখন আমাদের মুক্তিযুদ্ধ চলছিল। অতএব বাংলাদেশের জনগণের বা প্রবাসী সরকারের মতামত নেওয়ার কোনো প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেনি। পরেও তারা বন্ধুত্বসুলভ আচরণ করেননি। তিস্তার উজানে বাঁধ দিয়ে অবৈধভাবে পানি সরিয়ে নিয়েছে। এবার যদি যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রেরও একই দশা হয়, তাহলে ভারতের এই ধারাবাহিক আচরণকে কউভাবে ব্যাখ্যা করব?

ভারত বলে, আমাদের নাকি অত পানির প্রয়োজন নেই। আসলে বরং উল্টো ভারতেরই অত পানির প্রয়োজন নেই।

জাতিসংঘের সাবেক পানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. এস আই খান এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, ২০১৫ সাল ভারতে পানির প্রয়োজন ও প্রাপ্যতা কত। এখন পর্যন্ত যে অবস্থা বিদ্যমান তাতে ভারতের পানির প্রয়োজন (২০২৫ সাল পর্যন্ত) সর্বোচ্চ নয়শ বিসিএম (সেচের জন্য ৬৭৭ বিসিএম, খাওয়া ও গৃহস্থালি কাজের জন্য ৬৭ বিসিএম, শিল্প কারখানার জন্য ২৮ বিসিএম, পানি বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ৮ বিসিএম এবং পানির অপচয় ৮ বিসিএম)। অথচ ভারতে এখনই পানির পাপ্যতা হচ্ছে ৬৩৭৩ বিসিএম (নদীর পানি ১৯৫৩ বিসিএম, বৃষ্টি ও তুষার গলা পানি ৪০০০ বিসিএম, পাতাল পানি ৪২০ বিসিএম)। অর্থাৎ প্রয়োজনের তুলনায় প্রাপ্যটা সাতগুণ বেশি। পানি বিশেষজ্ঞ ড. এস আই খান সূত্র হিসেবে ব্যবহার করেছেন ভারতীয় বিশেষজ্ঞদের দেওয়া তথ্য- Water Perspectives, Issues and concerns by Ramaswamy R. Iyer, SAGE Publications, New Delhi.

তাই ড. এস আই খান বলেছেন, ‘ভারত তাদের দেশের প্রাপ্য পানির সামান্য অংশ অর্থাৎ ১৫ শতাংশ ব্যবহার করলে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসা ৫৪টি নদীর একটিতেও বাঁধ ও ব্যারেজ দিয়ে উজানে বাংলাদেশের পানি সরাবার ভারতের কোনো প্রয়োজন নেই।’ তবু কেন ভারত করছে? এ এক বিরাট প্রশ্ন! কারণ যাই হোক, ভারতের এই আচরণ বাংলাদেশের জনগণের চরম স্বার্থবিরোধী, যদিও ভারতকে আমরা বন্ধুদেশ মনে করি। বর্তমান সরকারের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক আছে। আমরা ভারতকে ব্যবসার সুবিধা দিচ্ছি। আমরা ভারতকে ট্রানজিট সুবিধা দিচ্ছি। পূর্ব ভারতের সুবিধার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের সুবিধা দিচ্ছি? তবু ভারত কেন এ আচরণ করছে?

উপরন্তু ভারত যা করছে তা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। জাতিসংঘের চার্টারে বলা আছে, ‘আন্তর্জাতিক নদীর পানি বন্টিত হবে অবশ্যই পারস্পরিক সমাঝোতা ও অঙ্গীকারের ভিত্তিতে। একটা দেশ কোনো অবস্থাতেই এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না যা অন্য দেশের পরিবেশ সমস্যা সৃষ্টি করে এবং কৃষি প্রকল্পকে বাধাগ্রস্ত করে।’ ইতিপূর্বে বাংলাদেশ প্রতিদিনের পাতায় (২২ জুন ২০১৫ তারিখে প্রকাশিত) এক লেখায় জাতিসংঘ নদী কনভেনশন ১৯৯৭ (যা এখন আন্তর্জাতিক আইনে পরিণত হয়েছে) সম্পর্ক বিশেষ করে তার ৭.১ এবং ৭.২ ধারা সম্পর্কে বিস্তারিত লিখেছিলাম। পুনরাবৃত্তির প্রয়োজন নেই।

আমি আশা করব, আন্তর্জাতিক আইনের এ শক্তি দ্বারা বলীয়ান হয়ে এবং ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ সরকার ভারতকে বিপজ্জনক নদীসংযোগ প্রকল্প থেকে বিরত করবে। যদি তাতে কাজ না হয় তাহলে নির্দিষ্ট আন্তর্জাতিক ফোরামে বিষয়টি উত্থাপন করতে হবে। একই সঙ্গে আমি আহ্বান জানাব, ভারতের প্রগতিশীল মহল যেন বাংলাদেশের প্রতি প্রকৃত বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে নিজ দেশের সরকারকে এ অপকর্ম থেকে বিরত করে।

লেখক : রাজনীতিক।

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.