পৃথিবীর বাইরে ৮৭৯ দিন

সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৫

আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে ৫৭ বছর বয়সী পাডালকার সর্বশেষ মিশন ছিল ১৬৮ দিনের। পাঁচটি মিশনে সব মিলিয়ে মোট ৮৭৯ দিন তাকে কাটাতে হয়েছে পৃথিবীর বাইরে, মহাকাশে।

সবচেয়ে বেশি দিন মহাকাশে কাটানোর রেকর্ড গড়ার পথে এই সফরেই পাডালকা নিজের দেশের সের্গেই ক্রিকালেভকে ছাড়িয়ে যান। ক্রিকালেভ ছয়টি মিশনে মোট ৮০৩ দিন মহাকাশে কাটিয়ে ২০০৫ সালে ওই রেকর্ড গড়েন বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পৃথিবী থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে কক্ষপথে ঘুরতে থাকা স্পেস স্টেশন আলফা থেকে গেন্নাডি পাডালকা আর তার দুই সহকর্মীকে নিয়ে পৃথিবীর পথে রওনা হয় একটি সয়ুজ ক্যাপসুল। তিন ঘণ্টা পর নিরাপদেই কাজাখস্তানে অবতরণ করেন তারা।

কাজাখস্তানের দজেজকাজান ভূকেন্দ্র থেকে ১৪৬ কিলোমিটার দূরে ওই উষর মরুতে মহাকাশচারীদের স্বাগত জানানো হয় বীরের মত। উত্তপ্ত ক্যাপসুল থেকে তাদের বের করে আনা হয় এবং চিকিৎসকরা তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন।

চায়ে চুমুক দিতে দিতে পাডালকা চিকিৎসকদের বলেন, “আই অ্যাম ফাইন।”

রুশ বিমানবাহিনীর সাবেক কর্নেল পাডালকার প্রথম স্পেস মিশন ছিল ১৯৯৮ সালে, মির স্পেস স্টেশনে। তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি চারবার আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেছেন। গত ১৭ বছরে মহাশূন্যে হেঁটেছেন ১০ বার।তার সঙ্গে তুলনা করলে একই ক্যাপসুলে পৃথিবীতে ফেরা ডেনমার্কের আন্দ্রেয়াস মোগেনসেন ও কাজাখস্তানের আইদিন অ্যাইম্বেতভকে নবিশই বলতে হয়।

পৃথিবীর বাইরে এটাই ছিল তাদের প্রথম মিশন। ১০ দিন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে কাটিয়ে ফিরে এলেন তারা।

আর এই মুহূর্তে স্পেস স্টেশনে আছেন ছয়জন, যাদের মধ্যে নাসার স্কট কেলি এবং রাশিয়ার মিখাইল করনিয়েনকোকে সেখানে কাটাতে হবে পুরো্ এক বছর।

গত মার্চে পাডালকার সঙ্গেই কেলি ও করনিয়েনকোর ‘ডিউটি’ শুরু হয়েছিল। সাধারণত স্পেস স্টেশনে ছয়মাস সময় কাটানোর রেওয়াজ থাকলেও মহাকর্ষহীন পরিবেশে দীর্ঘ সময় কাটানোর প্রভাব পরীক্ষার জন্য তাদের এই রেকর্ড সময় একটানা পৃথিবীর বাইরে কাটাতে হবে।

আর স্কট কেলির যমজ ভাই রয়েছেন পৃথিবীতে। কেলি ফিরলে দুই ভাইকে পরীক্ষা করে দেখা হবে, শারীরিক দিক দিয়ে তাদের মধ্যে বড় কোনো পার্থক্য তৈরি হয়েছে কি না।

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.