‘৯৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ ছিল পাতানো: মিয়াদাঁদ

সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৫
bd১৯৯৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারিয়ে ক্রিকেট বিশ্বে আলোড়ন তুলেছিল বাংলাদেশ। নর্দাম্পটনের সেই জয়টি নিয়ে নানা সময়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। সেই ম্যাচটি নাকি পাতানো ছিল, এবার এমন দাবি করেছেন পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও কোচ জাভেদ মিয়াদাঁদ।
পাকিস্তানের পত্রিকা জংকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিয়াঁদাদ দাবি করেন, সেই সময় পাকিস্তানের কিছু খেলোয়াড় দুর্নীতি ও অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ে। দুর্বল হয়ে পড়ে পাকিস্তানের ক্রিকেট। যার প্রভাব পড়ে বিশ্বকাপেও, প্রথম রাউন্ডে বাংলাদেশের কাছে চরম পরাজয় ও ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হার।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি) একাধিকবার বিষয়টি জানিয়ে সতর্ক করেছিলেন বলেও দাবি করেন মিয়াদাঁদ।
এ সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, ‘আমি তখনকার বোর্ড প্রধান খালিদ মাহমুদকে উদ্যোগ নিতে বলেছিলাম। না হলে পাকিস্তানের ক্রিকেটের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাবে বলে সতর্কও করেছিলাম।’
ওই বিশ্বকাপের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা মিয়াঁদাদের অধীনে খেলবে না বলে ‘বিদ্রোহ’ করে বসে। এরপর তাকে সরিয়ে কোচ করা হয় মুশতাক মোহাম্মদকে।
কোচ মিয়াঁদাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের অভিযোগ ছিল, কিছুদিন আগে শারজায় অনুষ্ঠিত এক টুর্নামেন্টে খেলোয়াড়েরা ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে জড়িয়েছিলেন- কোচ এমন ‘ভিত্তিহীন’ অভিযোগ এনেছিলেন। ড্রেসিংরুমে এ নিয়ে প্রায় হাতাহাতিও বেঁধে গিয়েছিল। দুজন সিনিয়র খেলোয়াড় তার দিকে ব্যাট নিয়ে তেড়ে এসেছিলেন বলেও শোনা যায়।
পাকিস্তানের হয়ে ১২৪ টেস্ট ও ২৩৩টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা মিয়াদাঁদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিবেক আর সায় দেয়নি বলে ১৯৯৯ সালে কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলাম।’
তবে গত সপ্তাহে তখনকার পিসিবি প্রধান মাহমুদ দাবি করেন, মিয়াঁদাদ দল নির্বাচনে আরও বেশি ক্ষমতা চেয়েছিলেন বলেই তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
মাহমুদ মিথ্যা বলেছেন-দাবি করে পিসিবি মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করা মিয়াঁদাদ বলেন, ‘সত্যটা হলো আমি উনাকে কয়েকজন খেলোয়াড়ের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলাম, তারা ইচ্ছে করে খারাপ খেলছে, কিছু ম্যাচের ফল বদলে দিচ্ছে। উনাকে আমি ব্যবস্থা নিতে বলেছিলাম, না হলে পাকিস্তান ক্রিকেটের বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। কিন্তু উনি বিশ্বাস করেননি। এখন তো আমরা দেখতেই পাচ্ছি পাকিস্তানের ক্রিকেটের কত বড় ক্ষতি হয়ে গেছে।’
জাভেদ মিয়াদাঁদ আরও বলেন, ‘এর কয়েক বছর পর সাঈদ আনোয়ার আমার সঙ্গে দেখা করে সেই ঘটনার জন্য ক্ষমা চায়। ও বলেছিল, কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার দলের জুনিয়রদেরও আমার বিরুদ্ধে উসকে দিয়েছিল।’
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালের ৩১ মে নর্দাম্পটনের সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে ৬২ রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.