হাসিতেই জয় নারী হৃদয়!
সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৫ চেহারা কিংবা কথাবার্তা নয় হাসি-খুশি রাখতে পারলেই মেয়ে হৃদয় জয় করতে পারবেন যেকোন পুুরুষ সঙ্গী। গৎ বাঁধা নানা ধারণা পেছনে ফেলে এটি একটি নয়া কৌশলই বটে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় মিলেছে এমন তথ্য। গবেষণা বলছে, যখন দুই অপরিচিত নারী-পুরুষ প্রথমবার দেখা করেন, পুরুষটি সঙ্গিনীকে যত বেশি মজার কথা বলে হাসাতে পারবেন, তত বেশি বাড়বে পরর্বতী ডেটিংয়ের সম্ভাবনা।
গবেষণার দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়টির কম্যুউনিকেশন স্টাডিসের সহযোগী অধ্যাপক জেফেরি হল বলেন, রসবোধ আসলে এক্ষেত্রে বুদ্ধিমত্তার পরিচয়ক হিসেবে গণ্য হয়।
গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, যদি, দু’জনই প্রথম সাক্ষাতের দিন প্রাণ খুলে হাসতে পারে তাহলে সম্পরকের রোম্যান্টিক পরিণতির সম্ভাবনা প্রবল।
জেফরি হলের মতে, যদি এমন কারোর সঙ্গে আপনার দেখা হয়, যার সঙ্গে আপনি দ্বিধাহীনভাবে হাসতে পারেন, তার অর্থ সম্ভবত এই সম্পর্কের ভবিষ্যত মজা, খুশি আর আনন্দে ভরপুর।
রোম্যান্টিক সম্পর্কে রসবোধের ভূমিকা কতটুকু? ছেলেরা কীভাবে রসবোধকে মেয়েদের আকৃষ্ট করতে কাজে লাগায়, আর মেয়েরাও কীভাবে সেই রসবোধের প্রতি আকৃষ্ট হয়? এমন প্রশ্ন নিয়ে ৫১ জোড়া অপরিচিত কলেজ পড়ুয়াদের ওপর সমীক্ষা চালিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা।প্রতি জোড়াকে ১০ মিনিট করে আলাদা সময় কাটাতে দেওয়া হয়েছিল।
এরপর দেখা গেছে, যৌনতা নয়, একটি ছেলে একটি মেয়েকে ওই ১০ মিনিটে যত বেশি হাসি খুশি রাখার চেষ্টা করেছে, মেয়েটি ছেলেটির প্রতি তত বেশি আকৃষ্ট হয়েছে। কিন্তু উল্টোটা দেখা যায়নি। অর্থাৎ যদি মেয়েটি ছেলেটিকে হাসানোর চেষ্টা করে সেক্ষেত্রে কিন্তু ছেলেটি মেয়েটির প্রতি আকৃষ্ট হয়নি।
গবেষণায় দেখা গেছে, যদি দুজনই এক সঙ্গে হাসি-খুশি মুহূর্ত কাটায় তাহলে তাদের পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ বাড়ে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু ছেলেরা সচেতনভাবেই এই কৌশলকে কাজে লাগায়। মেয়েরা মনে করে, হাসি-খুশি ছেলেরা অনেক বেশি সামাজিক হয়। অন্যের কথাও তারা বেশি শোনে এবং গুরুত্ব দেয়। সূত্র: জিনিউজ