সংখ্যালঘুদের জায়গা দখলকারীদের ছাড় নেই: আশরাফ
সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৫ সংখ্যালঘুদের জায়গা জমি এবং বাড়ি দখলের কাজে যারা লিপ্ত, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘আজকে এখানে এসে কিছু বিষয় নিয়ে আমি ব্যথিত হয়েছি। বাংলাদেশের কোনো কোনো স্থানে হিন্দু বাড়িতে আক্রমণ হয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য দখল করা হয়েছে, এটা কিন্তু এই স্বাধীন বাংলাদেশে চলতে দিতে পারি না। প্রধানমন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন, যারা এই কাজে লিপ্ত, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।’
আজ শনিবার শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে রাজধানীর পলাশীর মোড়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা-পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। খবর বাসসের
মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি জে এল ভৌমিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজি মো. সেলিম, আওয়ামী লীগের উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কাজল দেবনাথ, সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত কুমার দেব, উপদেষ্টা নিমচন্দ্র ভৌমিক প্রমুখ বক্তব্য দেন।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘এই বাংলাদেশ হিন্দুর, এই বাংলাদেশ মুসলমানের, এই বাংলাদেশ খ্রিষ্টানের এবং এই বাংলাদেশ বাংলাদেশের সকল নাগরিকের। ধর্মীয় বিভাজন করে লুটপাট করবেন, বাড়ি দখল করবেন, সম্পত্তি দখল করবেন, এটা শেখ হাসিনার রাজনীতি নয়।’ তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা এ ক্ষেত্রে দৃঢ় অবস্থানে। যারা সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ করে, তাদের বাংলাদেশের মাটিতে থাকতে দিতে পারি না।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ভগবান শ্রীকৃষ্ণ দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের জন্য ধরাধামে আবির্ভূত হয়েছেন। বাংলাদেশ সম্প্রীতির দেশ। এখানে জাতি-ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সব মানুষ সমমর্যাদা ও সম-অধিকার নিয়ে বাস করবে এবং যথাযথ মর্যাদায় নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িকতাকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।’
মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দুদিনব্যাপী কেন্দ্রীয় কর্মসূচির আজ ছিল প্রথম দিন। জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সকালে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় শ্রীশ্রীগীতাযজ্ঞের মাধ্যমে কর্মসূচির শুভ সূচনা হয়। গীতাযজ্ঞ পরিচালনা করেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের শংকর মঠ ও মিশনের সন্ন্যাসীরা।
শতাধিক ঢাক, সুসজ্জিত হাতিটানা রথ, ঘোড়া, মনোরম দৃশ্যপট নিয়ে বর্ণিল সাজে সজ্জিত তিন শতাধিক গাড়িবহরসহ বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও মঠ-মন্দিরের লক্ষাধিক ভক্তের মঙ্গল শোভাযাত্রা পলাশী থেকে যাত্রা করে দোয়েল চত্বর, প্রেসক্লাব, পল্টন, গুলিস্তান, নবাবপুর রোড হয়ে বাহাদুর শাহ পার্কে গিয়ে শেষ হয়।
এর আগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন মঙ্গল প্রদীপ জ্বেলে এই মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন।