বিয়ে-বিচ্ছেদে নারীর সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি
সেপ্টেম্বর ২, ২০১৫ ঢাকা: শুধু বিয়ে নয়, বিচ্ছেদের ক্ষেত্রেও নারীর সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। একইসঙ্গে নারীর প্রতি সকল বৈষম্য দূরীকরণে সিডও সনদ পুরোপুরি বাস্তবায়নেরও দাবি জানিয়েছেন নারী আন্দোলনের নেতারা।
বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে মিট দ্য প্রেসে এসব দাবি জানিয়েছে নারী অধিকার বাস্তবায়নে আন্দোলনকারী সংগঠনগুলোর ফোরাম ‘সিটিজেন ইনিশিয়েটিভস অন সিডও, বাংলাদেশ’।
মিট দ্য প্রেসের মূল বক্তা বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেন, বিয়ের সময় মুসলিম নারীদের কাবিনামায় অনুমতি সাপেক্ষে বিচ্ছেদের অধিকার দেওয়া হয়। সে বিধান তুলে দিয়ে নারীকে তার ইচ্ছায় বিচ্ছেদের অধিকার দিতে হবে। এজন্য সিডও সনদ পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা জরুরি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সিডও সনদে স্বাক্ষকারী দেশ হলেও ধারা ২ ও ১৬ এর ১(গ) সংরক্ষণ করেছে। ফলে বিয়ে-বিচ্ছেদে নারীর সমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না। এ ধারা দু’টির সংরক্ষণ অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
এই নারী নেত্রী বলেন, ধারা দু’টি সংরক্ষণ করার মানেই হচ্ছে, যারা সংবিধানের মূলনীতি ও নারী উন্নয়নকে বিশ্বাস করে না, তাদের এজেণ্ডার বাস্তবায়ন। তাই সরকারের উচিত টেকসই উন্নয়নের জন্য সিডও সনদের পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা।
লিখিত বক্তব্যে স্টেপস টুয়ার্ডস ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক রঞ্জন কর্মকার বলেন, সিডও সনদের ধারা দু’টি সংরক্ষণ বাতিল করা হলে তা হবে নারীর প্রতি সকল বৈষম্য দূর করা এবং বিয়ে বিচ্ছেদে সমান অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রাথমিক পদক্ষেপ। এছাড়া এ সনদটি পুরোপুরি গ্রহণ না করার কারণে দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী আন্তর্জাতিক আইন ও সংবিধানে স্বীকৃত অধিকার পুরোপুরি ভোগ করতে পারছেন না।
সিটিজেনস ইনিশিয়েটিভস অন সিডও’র পক্ষ থেকে ৯ দফা দাবি উত্থাপন করেন ।
সিটিজেনস ইনিশিয়েটিভস অন সিডও-বাংলাদেশ, ৫৪টি মানবাধিকার ও নারী আন্দোলকারী সংগঠনের সমন্বয়ে একটি ফোরাম। যারা একত্রে নারী অধিকার বাস্তবায়নের আন্দোলনে কাজ করছে।
মিট দ্য প্রেসে ব্র্যাকের জেন্ডার জাস্টিস অ্যান্ড ডাইভার্সিটি, মাইগ্রেশন পরিচালক চিত্তরঞ্জন, অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের পরিচালক আজগর আলী সাবরী, ইউএনডিপি’র জেন্ডার বিশেষজ্ঞ ফৌজিয়া খন্দকার ইভা, ইউএন উইমেন’র সোহেল রানা, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের তাহমিনা হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।