সাইনবোর্ড স্থাপনে গিয়ে হামলার শিকার ভ্রাম্যমাণ আদালত
আগস্ট ২৭, ২০১৫ বায়না করা জমিতে সাইনবোর্ড স্থাপন করতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের লক্ষ্য করে ককটেল ও ঢিল ছোড়া হয়েছে। তবে এই ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।
বুধবার বেলা একটার দিকে উত্তর খুলশীর মুরগির ফার্ম এলাকায় হামলার এ ঘটনা ঘটে। হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে পারেনি সিটি করপোরেশন।
সিটি করপোরেশনের বেঞ্চ সহকারী আবু জাফর চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, নগরের উত্তর খুলশীর মুরগির ফার্ম এলাকায় সিটি করপোরেশনের বায়না করা জমি রয়েছে। করপোরেশনের ভূ-সম্পত্তি বিভাগ থেকে সে জায়গায় সাইনবোর্ড স্থাপনের জন্য একটি দল পাঠানো হয়। করপোরেশনের বায়না করা জায়গাটি সীমানাপ্রাচীর দিয়ে ঘেরা।
আবু জাফর চৌধুরী জানান, সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজিয়া শিরিনের নেতৃত্বে একটি দল বুধবার দুপুরে বায়না করা জায়গায় সাইনবোর্ড স্থাপনের জন্য যায়। ওখানে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে সীমানাপ্রাচীরের ভেতর থেকে একদল যুবক করপোরেশনের লোকজনের ওপর এলোপাতাড়ি ঢিল-পাথর ছুঁড়তে থাকেন। একপর্যায়ে পাঁচ-সাতটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এর ফলে সাইনবোর্ড না লাগিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আহমুদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, সিটি করপোরেশন ২০০৭ সালে জনৈক হাসান মুরাদের কাছ থেকে ২ একর ৪ শতক জায়গা কেনে। মহিউদ্দিন চৌধুরীর আমলে সেখানে করপোরেশনের সাইনবোর্ড ছিল। কিন্তু সম্প্রতি কে বা কারা তা সরিয়ে ফেলে। করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইনবোর্ড স্থাপন করতে গেলে বাধার মুখে পড়েন। তাই তিনি সাইনবোর্ড স্থাপন না করে চলে আসেন।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে সন্ধ্যায় বলেন, ‘অভিযানের ব্যাপারে আমাদের কেউ বলেনি। তবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওপর হামলার খবর শোনার পর ঘটনাস্থলে অভিযান চালানো হয়। তবে কাউকে পাওয়া যায়নি।’