মুসলিম বিশ্বকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

আগস্ট ২৩, ২০১৫

ইসলামী সম্মেলন সংস্থার (ওআইসি) মহাসচিব ইয়াদ আমিন মাদানি রোববার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাত করতে গেলে শেখ হাসিনা এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম পরে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান।

তিনি বলেন, “সম্প্রতি সৌদি আরবে আত্মঘাতি বোমা হামলার নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বলেছেন, ইসলামে সন্ত্রাসের কোনো স্থান নেই।”

মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের সমস্যা সমাধানের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে’ অনেক মুসলিম দেশ নিজেদের মধ্যে সংঘাতে লিপ্ত। এতে অন্যদের ‘সুবিধা নেওয়ার সুযোগ’ সৃষ্টি হচ্ছে।

প্রেস সচিব বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ইসলামকে শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম হিসাবে উল্লেখ করেন এবং মুসলিম দেশগুলোর একে অপরের মধ্যে যুদ্ধকে ‘অনাকাঙ্খিত’ বলেন। তিনি বলেন, ইসলামের আসল মর্মবাণী জানতে হবে।”

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী মুসলিম দেশগুলোতে এ শিক্ষার প্রসারে ওআইসিকে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

গবেষণা খাতে বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ বরাদ্দের কথাও এ সময় তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

মুসলমান গবেষকদের গৌরবময় ইতিহাসের কথা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, বিজ্ঞান শিক্ষা ও গবেষণার ‘পথিকৃত’ তারাই।

ওআইসি মহাসচিব বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশ সব সময় ওআইসির ‘সামনের সারিতে’ রয়েছে।

তিনি প্রধানমন্ত্রীকে ওআইসির আগামী সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানান।

অন্যদের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী এবং প্রধানমন্ত্রী মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশে জাপানের নতুন রাষ্ট্রদূত মাশাতো ওয়াতানাবে পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।

প্রধানমন্ত্রী এ সময় বাংলাদেশে আরও বেশি জাপানি বিনিয়োগের প্রত্যাশার কথা বলেন।

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করা হচ্ছে বলেও প্রধানমন্ত্রী জাপানি রাষ্ট্রদূতকে জানান।

এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ার বিদায়ী রাষ্ট্রদূত লি ইয়ুন ইয়াং এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন।

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.