সংসদ থেকে পদত্যাগ করছি : লতিফ সিদ্দিকী
আগস্ট ২৩, ২০১৫ আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী জানিয়েছেন খুব শিগগিরই জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করছি। রোববার সকাল সোয়া ১১টার দিকে তার সংসদ সদস্যপদ বাতিল বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের শুনানি শেষে বেরিয়ে এসে গণমাধ্যমকে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় এ মন্তব্য করেন তিনি। লতিফ সিদ্দিকী বলেন, নেত্রী চাননা এ বিষয় নিয়ে আমি বাড়িবাড়ি করি। তাই খুব শিগগিরই জাতীয় সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করছি। এদিকে শিগগিরই সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেও আবদুল লতিফ সিদ্দিকী তার সংসদ সদস্য পদ বাতিলে ইসির শুনানি বিষয়ে দুই সপ্তাহের মুলতবি আবেদন করেন। ইসি তার আবেদন গ্রহণ করেছেন।
এর আগে এদিন সকাল সাড়ে ৯টায় আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর সংসদ সদস্যপদ বাতিল বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) শুনানির এখতিয়ার বৈধ বলে রায় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আপিলের আদেশে বলা হয়, সংসদ সদস্য পদ বাতিলে নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার বৈধ আর তাই নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে তাকে সেখানে যেতে হবে।
প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বেঞ্চে এ শুনানি হয়। আপিল বিভাগ আবদুল লতিফের আবেদন শুনে ‘নো অর্ডার’ দেয়। ফলে এ বিষয়ে তার রিট আবেদন খারিজ করে দেয়া হাই কোর্টের আদেশই বহাল থাকে।
আপিল বিভাগের আদেশের পর লতিফের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনের নোটিসের কার্যকারিতা স্থগিত চেয়েছিলাম আপিল বিভাগ তাতে ‘নো অর্ডার’ দিয়েছে। আমরা এখন নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছি।
গত ২০ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের শুনানির এখতিয়ার চ্যালেঞ্জ করে লতিফ সিদ্দিকীর করা রিট আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।
ওই আদেশের পর রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খোরশেদুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন কমিশন লতিফ সিদ্দিকীকে যে নোটিশ দিয়েছে, তাতে আইনের কোনো বত্যয় ঘটেনি। বিষয়টি মীমাংসা বা নিষ্পত্তির এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের হাতে।
রিট আবেদনকারীর কোনো বক্তব্য থাকলে তিনি তা কমিশনের শুনানির সময় উপস্থাপন করতে পারেন। এসব দিক বিবেচনা করে আদালত রিট আদেনটি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন।
এরপর হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের চেম্বার আদালতে গিয়ে নির্বাচন কমিশনের নোটিশ স্থগিতের আবেদন করেন লতিফের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আবেদনটি ২৩ অগাস্ট শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।