আনসারুল্লাহর ছয় সদস্যকে খুঁজছে ডিবি
আগস্ট ১৬, ২০১৫ ঢাকা জার্নাল: ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় হত্যায় জড়িত থাকতে পারে, এমন ছয়জনের নাম পাওয়া গেছে। এখন তাঁদের ধরার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি) কর্মকর্তারা।
ডিবি সূত্র জানায়, রিমান্ডে থাকা সাদ আল নাহিয়ান ও মাসুদ রানা জিজ্ঞাসাবাদে নীলাদ্রি হত্যায় জড়িত আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ছয় সদস্যের নাম বলেছেন। তবে তাঁরা নিজেরা এ খুনে জড়িত নন বলে দাবি করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত-তদারক কর্মকর্তা জানায় গতকাল রিমান্ডে নাহিয়ান ও মাসুদ ব্লগার নীলাদ্রি হত্যায় জড়িত আনসারুল্লাহর কয়েকজন সদস্যের নাম বলেছেন। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম জানাতে অপারগতা জানান ডিবির এই কর্মকর্তা।
আনসারুল্লাহর সদস্য সাদ আল নাহিয়ান ও মাসুদ রানাকে গত শুক্রবার আট দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ডিবি। এঁদের মধ্যে নাহিয়ান শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হকের (চুন্নু) ভাগনে। নাহিয়ান ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি। তিনি জামিনে মুক্ত ছিলেন।
৭ আগস্ট দুপুরে রাজধানীর গোড়ানে বাসায় ঢুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় নীলাদ্রিকে। এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী আশা মনি খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। গতকাল আশা মনি ও তাঁর বোন তন্বীর বক্তব্য নিয়েছে ডিবি।
তদন্তসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে নাহিয়ান ও মাসুদ রানা দাবি করেন, ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আনসারুল্লাহর নেতা রেদোয়ানুল আজাদ (রানা) নীলাদ্রি হত্যার কথাও জানতে পারেন।
ব্লগার রাজীব হত্যা মামলার আসামি রেদোয়ানুল আজাদ অভিজিৎ রায় হত্যায়ও অন্যতম সন্দেহভাজন। তাঁকে ধরিয়ে দিতে গত ১৫ মার্চ পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে ডিবি। এখন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, রেদোয়ানুল আজাদ ব্লগার রাজীব হত্যার পর দেশের বাইরে চলে গেছেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি ফেনীর দাগনভূঞায়। বড় হয়েছেন ঢাকার মিরপুরে।
ঢাকা জার্নাল, আগস্ট ১৬, ২০১৫