যে কারণে দেরিতে ঋতুশ্রাব

জুলাই ২৪, ২০১৫

Life stileঢাকা জার্নাল: প্রাপ্ত বয়স্ক নারীদেহের স্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপের মধ্যে ঋতুশ্রাব অন্যতম লক্ষণ। নিয়মিত ঋতুশ্রাব সুস্থতার নির্দেশক। নানা রোগের আশঙ্কা থেকে মুক্তি দিতেও নিয়মিত ঋতুশ্রাব হওয়া চাই। সাধারণত ২৮ দিনের ব্যবধানে ঋতুশ্রাব হয়ে থাকে। তবে কখনো এই সময়ের হেরফের হয়ে এক সপ্তাহ, একমাস বা তার চেয়েও বেশি সময় পরে ঋতুশ্রাব হয়। নির্ধারিত সময়ে ঋতুশ্রাব না হলে নারীর দুশ্চিন্তার শেষ থাকে না। ঋতুশ্রাবে দেরি হলে অবিবাহিতারা জরায়ু বা তলপেটের নানা সমস্যার আশঙ্কায় ভোগেন। কিন্তু বিবাহিত নারীদের দুশ্চিন্তা থাকে অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ নিয়ে। তবে গর্ভধারণ ছাড়াও ভিন্ন কিছু কারণে ঋতুশ্রাবে দেরি হতে পারে। যেমন-

হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া

খুব কঠিন ডায়েট করলে কিংবা কোনো কারণে হঠাৎ করেই অস্বাভাবিক ওজন কমে গেলে ঋতুশ্রাবে দেরি হতে পারে। অতিরিক্ত ব্যায়ামের কারণেও ঋতুশ্রাবে দেরি হতে পারে।

হরমোনের ভারসাম্যহীনতা

আমাদের গলার নিচে যে থাইরয়েড গ্রন্থি থাকে সেটা শরীরের সব রকম ক্রিয়াকলাপ স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে যদি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কিংবা কম থাইরয়েড হরমোন নিঃসৃত হয় তাহলে শরীরের পুরো কার্যপ্রক্রিয়ায় তার প্রভাব পড়ে। এই অবস্থায় ঋতুশ্রাবে দেরি হতে পারে।

পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম

পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম একটি হরমোন জনিত সমস্যা। শরীরের জরুরি তিনটি হরমোন এস্ট্রোজেন, প্রোজেস্টেরন এবং টেসটোস্টেরন উৎপাদনের মাত্রা কমে যায় পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম হলে। পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমে নারীদের মুখে এবং স্তনের চারিদিকে লোমের আধিক্য বেড়ে যেতে পারে। এই সমস্যায় যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিৎ। এই ধরণের সমস্যাতেও ঋতুশ্রাবে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

মানসিক চাপ

হঠাৎ অতিরিক্ত মানসিক চাপ বেড়ে গেলে ঋতুশ্রাবে দেরি হতে পারে। হঠাৎ করে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়লে হাইপোথ্যালামিক অ্যামেনোরিয়া হয়। একসময় হরমোনের স্বাভাবিক কার্যপ্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। যেকোনো বড় ধরণের মানসিক আঘাতের কারণে এই সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

ঢাকা জার্নাল, জুলাই ২৪, ২০১৫।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.