নায়েক রাজ্জাক আটকে উদ্বিঘ্ন সরকার
জুন ২২, ২০১৫ ঢাকা জার্নাল: মায়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) হাতে বাংলাদেশের বিজিবি’র নায়েক রাজ্জাকে আটকের ঘটনায় উদ্বিঘ্ন সরকার। তবে শিগগিরই পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত দেওয়া আশ্বাস দিয়েছে দেশটি।
সোমববার (২২ জুন) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের এ তথ্য দেন।
এর আগে গত ১৭ জুন ভোরে কক্সবাজার উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোরার কাছে নাফ নদীর লালদিয়া-সংলগ্ন সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশ ও মাময়ানমারের সীমান্ত ও রক্ষী বাহিনীর মধ্যে গুলির ঘটনা ঘটে।
এ সময় বিজিবির সিপাহি বিপ্লব (২১)সহ দু’জন সামান্য আহত হন। আর নায়েক রাজ্জাককে মাময়ানমার সীমান্তের ওপারে নিয়ে যায় বিজিপি সদস্যরা।
আটকের প্রায় ৫ দিন পরেও মায়ানমার বিজির নায়েক রাজ্জাককে ফেরত না দেওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, বিজিবির ৫২ ব্যাটলিয়ন কমান্ডেরর সঙ্গে বিজিপি’র ২ নম্বর ব্যাটিলিয়ন কমান্ডার জিহানের সঙ্গে সোমবার কথা হয়েছে পতাকা বৈঠকের জন্য। তবে সময় নির্ধারিত হয়। আমারা আশা করিছি শিগগিরই পতাবৈঠকের মাধ্যমে তাকে ফেরত আনা হবে।
আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী মায়ানমার এ আচরণ করতে পারে কিনা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেখানে আইনের শাশন নেই। সামরিক শাসন চলছে। আমরা তাদের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করতে চাই না। কোনো রকম গুলি বিনিময় ছাড়াই সব সমস্যার সমাধান হয়েছে কুটনৈতিক তৎপরতায়। শিগগিরই কুটনৈতিক তৎপরতায় বিষয়টি শেষ হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাদের সঙ্গে আমাদের রাষ্ট্রদূতের কথা হয়েছে। সুসম্পর্ক রেখেই সাধান হবে। শিগগিরই পতাকা বৈঠক হবে। তবে কবে হবে তা নির্দিষ্ট হয়নি।
মায়ানমার তাদের ওয়েব সাইলে লুঙ্গিপরা ছবি আপ করেছে। তাকে গ্রেফতার দেখাচ্ছে। এ অবস্থায় তাকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে কিনা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই পারবো।
প্রতিমন্ত্রী এ বিষয়ে জানান, অফিসিয়ালি আমাদের তারা এ বিষয়ে কিছু জানায়নি। তাদের জিম্মায় রাজ্জাক রয়েছে তা জানিয়েছে।
‘রাজ্জাকের পরিবার তাকে ফেরত না পাওয়ায় উদ্বিঘ্ন এ অবস্থায় কতটা তাড়াতাড়ি ফিরে আনা যাবে’ এমন প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরও উদ্বিঘ্ন। আমরা চাই তাৎক্ষণিক তাকে ফিরিয়ে আনতে। তার পরিবারের কাছে দ্রুত ফিরিয়ে দিতে। কিন্তু সেখানে আর্মি রুল চলছে।
তাকে গুলি করে মেরে ফেলা হতে পারে এমন প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এমন কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি যে, তাকে গুলি করে মেরে ফেলবে।
ঢাকা জার্নাল, জুন ২২, ২০১৫।