জীবনের সঙ্গে মিলিয়ে দেখুন

ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৪

ফন্টের আকার Decrease font Enlarge font

প্রতিদিনই আমরা অনেক কিছু ভাবি, নানা ধরনের পরিস্থিতিতে ভিন্ন ভিন্ন আচরণ করি। হয়ত এর অনেকগুলোই খুব সচেতন ভাবে করি না। যদি একটু খেয়াল করা যায় তাহলে এ বিষয়গুলোই আপনাকে যারপরনাই বিষ্মিত করবে।

আজ আমরা সেরকম মজার কিছু বিষয় মনোকথার পাঠকদের জন্য তুলে ধরছি…

১. ঘুমের ঘোরে স্বপ্নে পড়াশুনা করেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে কি? বিশেষ করে ছোট বেলায় পরীক্ষা আসলেই অনেকের মতো আমিও স্বপ্নে শুধু পরীক্ষার হলে গিয়ে বসতাম। সব প্রশ্নেরই উত্তর জানা, কিন্তু কিছুই আর লিখেতে পারতাম না। আমার মতো এমন পরিস্থিতি হয়ত আপনাদেরও হয়ে থাকবে। কেনো এমনটা ঘটে সেটা কি ভেবে দেখেছেন কখনো! যদি না থাকেন, তবে জেনে নিন স্বপ্নে আপনি কখনোই পড়তে পারবেন না। কেননা পড়া এবং স্বপ্ন দেখা বিষয় দু’টো সম্পূর্ণ আলাদা এবং বিষয় দু’টো মস্তিষ্কের দুই অংশের কাজ।

২. মানুষ কি শুধু ঘুমিয়েই স্বপ্ন দেখে? আসলে তা নয়, জেগে থেকেও মানুষ স্বপ্ন দেখে বা স্বপ্নের জাল বোনে। বিশ্বাস না হলেও এটাই সত্য যে মানুষ যতক্ষণ জেগে থাকে, তার অর্ধেকেরও বেশি সময় সে স্বপ্ন দেখে কাটায়!

৩. স্বপ্ন নিয়ে আরেকটা মজার তথ্য হলো যে সময় আমরা স্বপ্নের ভেতরে অতিবাহিত করি সে সময়টা বেদনা দায়ক অভিজ্ঞতা থেকে আমরা দূরে থাকি।

৪. আপনি যদি মিথ্যা না বলেন, তবে আপনার পক্ষে অন্যের মিথ্যা কথাটা ধরা একটু দুষ্করই বটে। একজন মিথ্যুক ব্যক্তিই খুব সহজে অন্যের মিথ্যে ধরতে পারেন। তাই বলে আপনি আবার মিথ্যা বলতে উৎসাহিত হবেন না যেনো! কেননা সত্যের জয় চিরকাল। আর মিথ্যা! তাকে তো ধরা পড়তেই হবে আজ অথবা কাল।

৫. সেই ছোট বেলা থেকেই আমার অনেক রাতে পড়তে ভালো লাগে, পড়ায় মনও বসতো তখন। আর এ জন্য বকুনিও কম খেতে হয়নি। আমার মতো এমন হয়ত অনেকেই আছেন। তাদের জন্য বলছি, মানুষ রাতে অধিক সৃজনশীলতার পরিচয় দিতে পারে কিংবা কাজ করতে পারে। আর সবচেয়ে কম সৃজনশীরতার পরিচয় দেয় বিকেলে। বিশ্বাস হলো না? তাহলে আপনিই প্রাত্যহীক জীবনের সঙ্গে মিলিয়ে দেখুন না!

৬. ধরুন আপনি কোনো পার্কে বসে আছেন, কিংবা ক্লাসে অথবা বাসেই বসে আছেন। আপনার কেমন যেনো অস্বস্তি হচ্ছে, মনে হচ্ছে কেউ আপনার দিতে তাকিয়ে আছে। হঠাৎ ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলেন সত্যি তো! আপনার হয়ত মনে হতে পারে বিষয়টা কাকতালীয়। কিন্তু সত্যটা হচ্ছে, যদি কেউ আপনার দিকে এক দৃষ্টে তাকিয়ে থাকে তবে আপনি সেটা বুঝেতে পারবেন, এমনকি যদি আপনি ঘুমিয়ে থাকেন তবুও!

৭. আমরা অনেকেই রাস্তায় হাঁটাচলার সময় হাত কিংবা ব্যাগ বুকের কাছে ধরে রাখি। কিন্তু আপনি যদি চলাফেরার সময় কোনো জিনিস দু’হাত দিয়ে বুকের ওপর আকড়ে রাখেন তাহলে বুঝতে হবে  আপনি লজ্জা পাচ্ছেন এবং আপনি কোনো কিছুকে বাধা দিতে চাচ্ছেন কিংবা অপর থেকে নিজেকে আলাদা করতে চাইছেন। কাজেই এ অভ্যাসটা পরিহার করুন। ব্যাগ যথাসম্ভব শরীরের পাশে রাখার চেষ্টা করুন। কারণ সময় এখন এগিয়ে যাওয়ার।

৮. এবার বিষণ্নতা নিয়ে কিছু বলি। আমাদের অনেকেরই একাধিক বালিশ নিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস আছে। কিন্তু আপনি কি জানেন, যারা একাধিক ‍বালিশ নিয়ে ঘুমান তারা আদতে একা ও বিষণ্ন!

৯. অনেকই আছেন, বিশেষ করে ছোট ছেলে-মেয়ে যারা ঘুমানোর সময় টেডিবিয়ার কিংবা অন্য কোনো পুতুল নিয়ে ঘুমায়। কেন তারা এটা করে সেটা তারা না জানলেও আজ আপনি জানবেন। কেননা টেডিবিয়ারের সংস্পর্শে মানুষ কম একাকী বোধ করে। ছোট বাচ্চারা হয়ত প‍ৃথক ঘরে নিজেকে একা মনে না করতেই টেডিবিয়ার জাতীয় খেলনা বুকে জড়িয়ে ঘুমায়!

১০. ধুর ছাই কিচ্ছু ভাল্লাগছে না, বলেই বসে পড়লেন ইন্টারনেট কিংবা ফেইসবুকে। আর এক গবেষণায় উঠে এসেছে যারা ইন্টারনেটে বেশি সময় অতিবাহিত করে তাদের অধিকাংশই বিষণ্ন, একা এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।

১১. আমরা আধুনিকতার দিকে ধাবিত হচ্ছি প্রতিনিয়ত। প্রযুক্তির সম্প্রসারণের ফলে বিচ্ছিন হচ্ছি বাস্তব পৃথিবী থেকে, আসক্ত হচ্ছি ভার্চুয়াল পৃথিবীর দিকে। আর এসব কারণেই বিষণ্নতা ও হতাশাও বাড়ছে আমাদের। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে ২০২০ সাল নাগাদ মৃত্যু এবং অক্ষমতার এটা অন্যতম কারণ হবে বিষণ্নতা।

১২. যদি আপনার মানিব্যাগে একটি শিশুর ছবি থাকে, তবে আপনর হারিয়ে যাওয়া মানিব্যাগ ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে!

১২. প্রতি বছর নারীরা ৩০ থেকে ৬০ বার কাঁদে! অর্থাৎ পুরুষদের চেয়ে তা ৬ গুণ বেশি!

১৩. ৪০ ভাগেরও বেশি পুরুষ নারীদের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতে আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভোগেন!

১৪. বিশ্বাস হয়, অধিকাংশ সিরিয়াল কিলারের জন্ম নভেম্বর মাসে।

১৫. কোনো ঘটনা বা বিদ্রুপ বুঝতে না পারা মস্তিষ্কের রোগের আগাম শতর্কতা।

১৬. টেলিভিশনের ভলিউম ২-৫ এর মধ্যে না থাকলে প্রায় ৯০ ভাগ মানুষ অস্বস্তি অনুভব করে।

১৭. নীল রং মানুষ কে এক ধরনের স্বস্তি দেয়। এটা মানুষের মস্তিষ্কে এক ধরনের  শান্তি প্রদায়ক হরমোনের নিঃসরণ ঘটায়।

১৮. ভয়ের ছবি দেখা শিশু এবং টিন এজারদের মধ্যে একধরনের প্রভাব ফেলে। যা তাদের মানসিক ও শারীরিক বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলে।

প্রতিনিয়ত আমরা নানা ধরনের ভীতির কথা শুনি। কেউ কেউ  পানিকে ভয় পান কেউবা আগুনে। এরকম একটি ভীতি হচ্ছে  Logizomechanophobia। যা কিনা কম্পিউটার সংক্রান্ত ভীতি। রান্না সম্পর্কিত ভীতিকে বলে Mageirocophobia, আর Didaskaleinophobia হলো স্কুলে যাওয়া সংক্রান্ত ভীতি।

প্রিয় পাঠক, আপনার সমস্যার কথা জানানোর সঙ্গে সমস্যার বিস্তারিত বিবরণ, আপনার নাম, বয়স, কোথায় থাকেন, পারিবারিক কাঠামো এবং এজন্য কোনো চিকিৎসা নিচ্ছেন কি না এ বিষয়ে বিস্তারিত আমাদের জানান। শুধুমাত্র সেক্ষেত্রেই আপনার সমস্যা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা জানানো সম্ভব হবে।

আপনার সমস্যা, মতামত বা পরামর্শ জানাতে আমাদের ই মেইল করুন –monokotha@gmail.com

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.