মহানায়িকার জীবনাবসান

জানুয়ারি ১৭, ২০১৪

অর্ন্তলোকের পথে পা রাখলেন মহানায়িকা সুচিত্রা সেন। গত কদিন ধরেই এমন একটি খবরের ভয়ে পেন্ডুলামের মতো দুলছিলো দুই পারের বাংলার লাখো কোটি ভক্তের মন। শুক্রবার ভোর ৮টা ২৫ মিনিটে তিনি এ সবার মায়া ছিন্ন করে দূরে হারিয়ে গেলেন একসময়ের হার্টথ্রব দেবী চৌধুরানী সুচিত্রা সেন। কলকাতার বেলভিউ হাসপাতালে তিনি তার শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। ফুসফুসে সংক্রমণ, শ্বাসকষ্টের জন্য সুচিত্রা সেনকে গত ২৪ ডিসেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সুচিত্রা সেন ওপার বাংলার নায়িকা হলেও তিনি মূলত বাংলাদেশের মানুষ। তাঁর জন্ম পাবনায়। পরবর্তীতে দেশভগের সময় পুরো পরিবারসহ তারা চলে যান ভারতে। শুধু তাই নয় বিখ্যাত এই মহানায়িকার শ্বশুড় বাড়িও এদেশে। ঢাকার গেন্ডারিয়ায়। সুচিত্রা সেনের পারিবারিক নাম রমা দাশগুপ্ত। পরে দীবানাথ সেনের সাথে বিয়ে হবার পর তিনি হন রমা সেন। আর এই রমা সেনই পরবর্তীতে হয়ে উঠেন আমাদের সবার প্রিয় সুচিত্রা সেন।

১৯৫২ সালে ‘শেষ কোথায়’ ছবির মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয় সুচিত্রা সেনের। তবে সেই ছবিটি মুক্তি

পায়নি। পরের বছরে উত্তম কুমারের বিপরীতে ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ ছবিতে তিনি অভিনয় করেন। ছবিটি বক্স-অফিসে লাভ করে ব্যাপক সাফল্য। আর উত্তম-সুচিত্রা জুটি হয়ে উঠে সবার চোখের মণি। এরপর আসতে থাকে সুচিত্রা সেনের একের পর এক হিট ছবি।

১৯৭৮ সালে সুদীর্ঘ ২৫ বছর অভিনয় জীবনের পর তিনি চলচ্চিত্র থেকে অবসর গ্রহণ করেন। এবং এরপর থেকেই তিনি লোকচক্ষুর একেবারে আড়ালে চলে যান। এমনকি  ২০০৫ সালে ‘দাদাসাহেব ফালকে’ পুরস্কারের জন্য সুচিত্রা সেন মনোনীত হলেও ভারতের প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে সশরীরে পুরস্কার নিতে দিল্লী যেতে হবে বলে তিনি আপত্তি জানান। ফলে পুরস্কার আর নেওয়া হয়ে উঠে নি তাঁর।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.