স্বামী স্ত্রী হলেও তারা ছিলেন ভাই-বোন
ডিসেম্বর ৩, ২০১৩ সুস্থ, সফল মাতৃত্বের আশায় নিজেদের ডিএনএ টেস্ট করাতে গিয়েছিলেন ওই দম্পতি। কিন্তু তাদের টেস্ট রিপোর্ট দেখে হতবাক ফুরং ফরেন্সিক সেন্টারের কর্মীরা। ওই দম্পতির ডিএনএ টেস্টে ৯৯ শতাংশ জিনগত মিল পাওয়া গেল। ঘটনা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়।
এরপর ছেলে-মেয়ের বাবা হালে স্বামী-স্ত্রীর বাবা ফাঁস করলেন গোপন রহস্য। যা তিনি এতবছর ধরে বুকে চেপে রেখেছিলেন।
ছেলেটির মা-কে ভালবাসতেন মেয়েটির বাবা। তাদেরই অবৈধ সন্তান মহিলার স্বামী। পরে তিনি মেয়েটির মা-কে বিয়ে করেন। সংসার শুরু করার পর তার অবৈধ ছেলে ও তার মায়ের সঙ্গে আর কোনও সম্পর্কই রাখেননি মেয়েটির বাবা। তাদের কোনও দায়িত্বও নিতে চাননি। ফলে দু’জনের মা আলাদা হলেও জিনগতভাবে বাবা একজনই। একই গ্রামে আলাদা পরিবারে বড় হওয়া ওই ছেলে মেয়ে দুটি পরে বিয়ে করেন।
ছেলেটির মা ২০ বছর আগে মারা যান। ফলে সত্যি ঘটনাটা ওই দম্পতির বাবা ছাড়া আর কেউ জানতেন না। যদিও প্রতিবেশীরা তাদের চেহারার সাদৃশ্য নিয়ে মাঝে-মধ্যে সন্দেহ প্রকাশ করতেন। চলতো হাসিঠাট্টা। কিন্তু এতদিন কেন তাদের বাবা এই সত্য প্রকাশ করেননি সে বিষয়ে কিছু জানা যায় নি। এমনকী নিজের অবৈধ ছেলের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে হচ্ছে জেনেও কোনও আপত্তি করেননি। হয়তো লোকলজ্জার ভয়েই তিনি গোটা ব্যাপারটি চেপে যান। কিন্তু ধর্ম আর বাতাসের কলের আদি সম্পর্কের সত্যতা প্রমাণ করে ফের তা নড়ে উঠল প্রায় তিন যুগ পরে।