বাবা-ছেলের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের কারণেই খুন হন জিয়া খান

অক্টোবর ২০, ২০১৩

18ঢাকা জার্নাল: বাবা ও ছেলের সাথে একসাথে সম্পর্ক রক্ষা করতে গিয়ে খুন হন জিয়া খান। মৃত্যুর সময় সময় মদ্যপ ছিলেন জিয়া খান-এমনটাই জানাচ্ছে ফরেনসিক প্রতিবেদন। গত ৩ জুন নিজেদের ফ্ল্যাটে নিহত হন বলিউডের উঠতি এই অভিনয়শিল্পী। এরপর জল কম ঘোলা হলো না! বলিউডের অভিনেত্রী জিয়া খানের একই সঙ্গে যৌন সম্পর্ক ছিল প্রেমিক সুরুজ খান ও তার বাবা বলিউডের বিতর্কিত অভিনেতা আদিত্য পাঞ্চোলির সঙ্গে। এটা ঢাকতে সুরুজের বাবা আদিত্য পাঞ্চোলি জিয়া খানকে খুন করিয়েছেন কী না, এ প্রশ্ন উঠেছে।

জিয়া খান মৃত্যুবরণ করেন গত ৩ জুন রাতে। সেদিন তার অ্যাপার্টমেন্টে হাজির হয়েছিলেন অভিনেতা আদিত্য পাঞ্চোলি।গত ৩ জুন মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগে জিয়া সর্বশেষ ফোনে কথা বলেছিলেন প্রেমিক সুরজের সঙ্গে। তাদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছিল। এমনকি জীবনের শেষ চিঠিতে প্রেমিক সুরজের বিষয়ে নানা গুরুতর অভিযোগ করে গেছেন জিয়া।সেগুলোর মধ্যে প্রতারণা, ধর্ষণ ও গর্ভপাতের মতো বিষয়ও ছিল। জিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থাকলেও বয়সে ২০ বছরের বড় এক নারীর সঙ্গে প্রণয়ে জড়িয়ে পড়েছিলেন সুরজ। পাঞ্চোলি পরিবারে গয়না সরবরাহ করতেন ওই নারী। সুরজের অনেক অত্যাচার মুখ বুজে সইলেও প্রেমিকের কাছ থেকে প্রতারণার বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেননি জিয়া। তবে সুরুজের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের কথা চিঠিতে উল্লেখ থাকলেও তার বাবা আদিত্যের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের কথা নেই।ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, সম্প্রতি ৩ জুন রাতের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে সংগ্রহ করা ছবি প্রকাশ করেছেন জিয়ার মা অভিনেত্রী রাবেয়া আমিন। প্রকাশিত ছবিতে আদিত্যর অস্বাভাবিক আচরণ লক্ষ করা গেছে। এতে অনেকের সন্দেহ, ছেলের প্রেমিকার সঙ্গে আদিত্য পাঞ্চোলিরও যৌন সম্পর্ক ছিল।

ভারতের জুহু বিচ-সংলগ্ন সাগর সংগীত অ্যাপার্টমেন্টে থাকতেন জিয়া খান। ৩ জুন রাতে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। কয়েকদিন পর প্রেমিক সুরজ পাঞ্চোলিকে দায়ী করে জিয়ার লেখা সুইসাইড নোট পাওয়া যায়। শুরু থেকেই জিয়ার মৃত্যুর জন্য সুরজ ও তার বাবা আদিত্য পাঞ্চোলিকে দায়ী করে আসছেন রাবেয়া আমিন। জিয়ার মৃত্যু-রহস্য নতুন মোড় নেয় ১ অক্টোবর। ওই দিন জিয়া খানকে হত্যার অভিযোগে বোম্বের উচ্চ আদালতে মামলা করেন রাবেয়া। তার মেয়েকে হত্যার পর আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

একটি পার্টি থেকে ৩ জুন রাতে রাবেয়াকে সাগর সংগীত অ্যাপার্টমেন্টে পৌঁছে দিয়েছিলেন আদিত্য পাঞ্চোলি। রাবেয়ার সঙ্গে মুন্নু ও আঞ্জু নামে আরও দুজনকেও জিয়ার বাসায় পৌঁছে দেন আদিত্য। তিনি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের সামনে তাদের নামিয়ে দিয়ে সেখান থেকে চলে না গিয়ে ভবনের আশপাশে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে থাকেন।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের ভেতরে ঢুকবেন কি না, তা নিয়ে ইতস্তত করছেন আদিত্য। একপর্যায়ে তিনি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের ভেতরে ঢুকতে থাকেন। কিন্তু সিসিটিভি ক্যামেরা দেখে সেখান থেকে বের হয়ে যান তিনি। সে সময় তার আচরণ স্বাভাবিক ছিল না। তাকে দেখে বিভ্রান্ত মনে হচ্ছিল। কারও সঙ্গে ফোনেও কথা বলতে দেখা যায় তাকে সম্প্রতি এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে ওয়ান ইন্ডিয়া। দুই দিন পর জিয়ার আত্মহত্যায় প্ররোচনার দায়ে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারায় সুরজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিছুদিন জেলের চার দেয়ালে বন্দী থাকার পর জামিনে মুক্তি পান সুরজ পাঞ্চোলি।

ঢাকা জার্নাল, অক্টোবর ২০, ২০১৩।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.