ফাউল খেলবেন না

জুলাই ৪, ২০১৩

GOC-bg20130703064057ঢাকা জার্নাল: সানডে মিরর পত্রিকার প্রতিবেদন ও রেশমা উদ্ধার নিয়ে ষড়যন্ত্রকারিদের সতর্ক করে দিয়ে আইএসপিআর’র পক্ষ থেকে বলা হয়েছে,
‘ফাউল খেলবেন না। ফাউল খেললে নিজের গায়ে আঘাত লাগতে পারে।’

বুধবার তথ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দি আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।

রেশমা উদ্ধার নিয়ে সানডে মিররের প্রতিবেদনটি নির্জলা মিথ্যা উল্লেখ করে জিওসি বলেছেন যারা এই বিষয়টির সাথে জড়িত তাদের বিচারের ব্যবস্থা করা
উচিত।

মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের দায়ে ওই পত্রিকা ও সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক সায়মন রাইটের বিরুদ্ধে দেশের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার দায়ে ক্ষতিপুরণ মামলা
করার জন্য সনরকারের কাছে আহবান জানান তিনি। একই সঙ্গে সংবাদ প্রকাশের ব্যাপারে বাংলাদেশের যে সকল ব্যক্তি জড়িত তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধেও
ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

মিরর পত্রিকার প্রতিবেদন নির্জলা মিথ্যা উল্লেখ করে জিওসি বলেন, “সেনাবাহিনী ও জাতিকে নিয়ে একটি চক্রান্ত হচ্ছে।”

জেওসি বলেন, “সেনা বাহিনী দেশে নয়, সারা বিশ্বের সর্বত্র সম্মান, সর্যাদায় সমাদৃত হচ্ছে। তখন জাতির আস্তাস্থল সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার
জন্য বিভিন্ন ধরণের বক্তব্য বিভিন্ন স্থান থেকে উত্থাপিত হচ্ছে।

এ ষড়যন্ত্র শুধু রেশমাকে নিয়ে হচ্ছে তা নয় যখন থেকে রানা প্লাজায় উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে তখন থেকে হচ্ছে।

নবম পদাতিক ডিভিশন এই উদ্ধার অভিযান থেকে সরায়ে দেন, না হলে পরবর্তীতে বিপদে পড়তে পারে। তার মানে ওই সব ব্যক্তি যারা রেশমার গল্প সৃষ্টি করেছে, তাদেরই সৃষ্টি। রেশমার গল্প সানডে মিররের প্রকাশিত হওয়ার পরে আবার একটি ব্লগে মেসেজ দিয়েছে যে, আগেই বলেছিলাম মাননীয়
প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনী আপনাকে বিপথে নিয়ে যাচ্ছে। সূতরাং উদ্দেশ্য সেনাবাহিনীর ঐতিহ্য, কমান্ড স্টাকচারের মধ্যে আঘাত করা। সেনাবাহিনীকে
আঘাত করা। ভাবর্মূর্তি নষ্ট করা।

সানডে মিররের একটি মিথ্যা তথ্যে সেনাবাহিনীর ভাবর্মূর্তি সম্পর্কে বলা হচ্ছে সেনাবাহিনীর ভাবর্মর্তি নষ্ট হচ্ছে। সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি কচুর
পাতার পানির ওপর টলটল করে ভাষে না যে কারোর পায়ে আঘাত লাগলে তা খসে পড়ে যাবে।

জেওসি জানান, দেশের ভাবমুর্তি নষ্ঠ করার জন্য এ দেশের একটি মহল এ প্রতিবেদনটি প্রকাশের ব্যবস্থা করেছে। মিররের সাংবাদিক ভিজিট ভিসায় এ
দেশে এসে মিথ্যা মনগড়া সংবাদ প্রকাশ করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হিসেবে যাদের উদ্বৃতি দেওয়া হয়েছে তাদের ২ জনকে টাকার লোভ দেখানো হয়েছিল
মিথ্যা সাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্য। মিথ্যা মনগড়া কাহিনী সাজিয়ে সংবাদ প্রকাশ করার দায়ে মিররের এই সাংবাদিক সায়মন রাইট এর আগে অপরাধ করে
আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় শিরোনাম হয়েছিলেন। মন্দ সাংবাদিকতার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকায় তিনি গ্রেফতারও হয়েছিলেন। ২০১০ সালে দক্ষিন আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট চলাকালে এই ঘটনা ঘটে। ‘নিউজ তৈরির’ জন্য অর্থের লেনদেনের অভিযোগে তিনি গ্রেফতার হয়ে দক্ষিন আফ্রিকা থেকে
বহিষ্কৃত হন। সে সময় তার কর্মকান্ডকে ‘কু-সাংবাদিকতা’ হিসেবেও অভিহিত করা হয়।

জিওসি সাংবাদিকদের সহাযোগিতা চেয়ে বলেন, “বাংলাদেশকে রক্ষা করেন। বিদেশীদের কাছে বাংলাদেশীদের মর্যাদা নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না।”

ঢাকা জার্নাল, জুলাই ২, ২০১৩

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.