বর্ষবরণের মহাসমারোহে প্রস্তুতি
এপ্রিল ১১, ২০১৩ সমাপণী রঙের পোঁচ পড়ছে বর্ষবরণের প্রস্তুতিতে। তাই শেষসময়ে এসে চারুকলার শিক্ষার্থী ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। মঙ্গল শোভাযাত্রা বর্ষবরণের মূল আকর্ষণ হওয়ায় পুরোদমে চলছে সাজানোর কাজ। বাঙালির প্রাণের এই উৎসবকে ঘিরে চলছে মাসব্যাপী প্রস্তুতি। এবারের শোভাযাত্রার সব আয়োজন জুড়ে থাকছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি। ‘রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ অনিঃশেষ”-এই স্লোগানকে সামনে রেখে চলছে ১৪২০ বরণের প্রস্তুতি।
মঙ্গল শোভাযাত্রায় ভিন্ন মাত্রা এনে দেয় রঙ বেরঙের ফেস্টুন, ব্যানার ও মুখোশ। বাঙালির প্রাণের উৎসব বর্ষবরণের নানা বর্ণিল আয়োজনের অন্যতম অংশ মঙ্গল শোভা যাত্রা। ১৯৮৯ সাল থেকে চালু হওয়া এ সংস্কৃতি মিশে আছে বাঙালির হৃদয় স্পন্দনের সাথে।
প্রতিবছরই মঙ্গল শোভাযাত্রা থাকে বর্ষবরণের অন্যতম আকর্ষণ। আর প্রতিটি মঙ্গল শোভাযাত্রার থাকে প্রতিপাদ্য বিষয় বা থিম। স্বাধীনতার ৪২তম বার্ষিকীতে যুদ্ধাপরাধীমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে বাংলা ১৪২০ সনের মঙ্গল শোভাযাত্রা হবে। যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে শাহবাগের তরুণ প্রজন্মের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানানো হবেএবারের শোভাযাত্রা থেকে।
৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের দানব ‘ড্রাগন’ থাকবে শোভাযাত্রার সামনের দিকে। এ বছরের মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি কাজের সমন্বয়ক মানবেন্দ্র ঘোষ প্রস্তুতি পর্বের নানা বিষয় ব্যাখ্যা করেছেন সংবাদমাধ্যমের কাছে। তিনি বলেছেন, “আমরা চাই বাংলা বাঙালির শিল্প-সাহিত্য-ঐতিহ্য নিয়েই চলবে। কিন্তু অশুভ শক্তি চায় এগুলো মরে যাক। আমরা বাঙালির ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে চাই যুগ-যুগান্তর।”
শোভাযাত্রার অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজও পুরোদমে এগিয়ে চলছে। বিগত দু’মাস ধরে চলমান গণজাগরনের সাথে একাত্মতা প্রকাশেই এমন ভিন্নধর্মী প্রতিপাদ্য নিয়ে হাজির হচ্ছেন মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজকরা। যে দানবদের বিদায় করতে শাহবাগ আন্দোলন সেই আন্দোলনকেই বাস্তবে রূপ দিতে চারুকলার সামনের মাঠে চলছে দানব বিদায়ের আয়োজন।