শুক্রবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মহিলা পলিটেকনিক কলেজের এক আলোচনা সভায় মন্ত্রীর বক্তব্যের মধ্যে এক সাংবাদিকের চিরকুটে পাঠানো প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
কামাল বলেন, “যারা (রোহিঙ্গা) এসে পড়ছেন, তারা তো মানুষ। আমরা যতদিন পারি তাদের রাখব। তারপর তাদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য আমরা মিয়ানমারকে জানাব।
“তারা (মিয়ানমার) নিশ্চয় এটার ব্যবস্থা করবে।”
আশির দশকে মিয়ানমারে জাতিগত নিপীড়নের শিকার মুসলিম রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ শুরু করে। তিন দশক ধরে ৫ লাখের বেশি রোহিঙ্গার ভার বহন করছে বাংলাদেশ। বারবার আহ্বান সত্ত্বেও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেওয়ার কোনো উদ্যোগও নিচ্ছে না মিয়ানমার সরকার।
গত ৯ অক্টোবর মিয়ানমারের তিনটি সীমান্ত পোস্টে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীদের’ হামলায় ৯ সীমান্ত পুলিশের মৃত্যুর পর রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত জেলাগুলোতে সেনাবাহিনীর অভিযান শুরু হয়।
ওই অভিযানে শতাধিক মানুষের প্রাণ হারানোর খবর দিচ্ছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম; যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে, রাখাইন অঞ্চলে সহস্রাধিক ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে নতুন করে সীমান্তে রোহিঙ্গাদের ঢল নামায় ‘উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সামনেও বিষয়টি তুলে ধরেছেন
তবে সরকার ২০১২ সালে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে দেওয়ার পর এবারও একই নীতি নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
দমন অভিযানের মুখে পালাতে থাকা রোহিঙ্গাদের নাফ নদী পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা ঠেকাতে সীমান্তে বাড়তি বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
গত কয়েক দিনে কয়েকশ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর কথা জানিয়েছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এ বিষয়ে দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে বৈঠকও হয়েছে।
ঢাকা জার্নাল, নভেম্বর ২৫, ২০১৬।