নির্বাচন কমিশন শাসক দলকে খুশি করার জন্য কাজ করছে : রিজভী

জানুয়ারি ১০, ২০১৬

03পৌর নির্বাচনে আবারো কারচুপি ও ভোট ডাকাতির আশঙ্কা প্রকাশ করে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নির্বাচন কমিশন শাসক দলকে খুশি করার জন্য কাজ করছে। শাসক দলের কাছে তাদের ঋণ করতে করতে দেউলিয়া অবস্থা। এ অবস্থা চলতে থাকলে সেদিন আর বেশী দূরে নয় জনগণের ধাওয়া থেকে নির্বাচন কমিশন রক্ষা পাবে না। আজ রবিবার সন্ধ্যা ৭টায় কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।  রিজভী বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে অধিকাংশ পৌরসভাগুলো কেড়ে নিয়েছে সরকারি দল। ওই দিন স্থগিত হওয়া পৌরসভাগুলোর নির্বাচন ১২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি অভিযোগ করেন, ওই পৌরসভাগুলোতে বিএনপির প্রার্থী ও সমর্থকদের হয়রানি করা হচ্ছে। গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানের ভাইকে বিজয়ী করতে নোয়াখালীর চৌমুহনী পৌরসভায় বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। তাঁকে গণসংযোগ করতে ও বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। সরকার ব্যাপক তাণ্ডব চালাচ্ছে। ফলে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নাই।

সেখানে বিএনপির প্রার্থীকে পরাজিত করতে যা যা করার দরকার, তাই করছে সরকার। অথচ সেখানে বিএনপির প্রার্থীই এগিয়ে আছেন। একই অবস্থা কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর পৌর নির্বাচনে ও নরসিংদির মাধবপুর পৌরসভায়। এখানেও বিপুল ভোটে এগিয়ে আছে বিএনপি প্রার্থী। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, এই নির্বাচন কমিশন দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় জেনেও শুধু গণতন্ত্রের সামান্যতম পরিসরে প্রবেশ করতে পৌর নির্বাচনে অংশ নিয়েছে বিএনপি। তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার গণবিচ্ছিন্ন। এই সরকার দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে বিচ্ছিন্ন করেছে। প্রাধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে নাশকতার মামলায় ফাসাতে চায়। কারণ আইন, বিচার বিভাগ সবই তার ভ্যানিটি ব্যাগে।

একই ভাবে শিক্ষকদের আন্দোলনকে তোয়াক্ক না করে উল্টো প্রধানমন্ত্রী তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করছে। যা গ্রহনযোগ্য নয়। এভাবে বাংলার মানুষকে দাবিয়ে রাখা যাবে না। একদিন সব শৃঙ্খল ভেঙ্গে মানুষ বেড়িয়ে আসবে। এ ছাড়াও নির্বাচনকেন্দ্রিক সন্ত্রাস বন্ধের দাবি জানিয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, নির্বাচনকেন্দ্রিক যেসব সন্ত্রাস চলছে, তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। তা না হলে স্থগিত হওয়া ভোটকেন্দ্রগুলোতেও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।   সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি নেতা ও সাবেক মেয়র আবু বকর সিদ্দিক, মোস্তাফিজার রহমান, অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বেবু, অ্যাডভোকেট রেহানা খানম বিউটি, অধ্যাপক হাসিবুর রহমান হাসিব প্রমুখ।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.