বেতন-বোনাসের দাবিতে গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের অবস্থান কর্মসূটি শুরু

জুলাই ১২, ২০১৫

Garmentsঢাকা জার্নাল: তৈরি পোশাক শিল্প শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ও উৎসব ভাতার দাবিতে টানা অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

রোববার সকাল ১১টা থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সোয়ান গার্মেন্ট শ্রমিকদের ৩ মাসের বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধের দাবিতে এ কর্মসূচি শুরু করে গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র।

এ অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সভাপতি ও সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা কমরেড মনজুরুল আহসান খান, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা সহিদুল্লাহ চৌধুরী, গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের কার্যকরী সভাপতি সাদেকুর রহমান শামীম, সাধারন সম্পাদক কাজী রুহুল আমিন, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জলি তালুকদার, কেন্দ্রীয় নেতা জয়নাল আবেদিন, কারখানা শ্রমিক শেখ ফরিদ, মোর্শেদা আক্তার, মাকসুদা আক্তার, হযরত আলী, আয়নাল হোসেন প্রমুখ।গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি অ্যাডভোকেট মন্টু ঘোষ,সাধারণ সম্পাদক কে এম রুহুল আমিন, সংগঠনের কার্যকরি সভাপতি সাদেকুর রহমান শামীম এবং সহকারি সম্পাদক জলি তালুকদারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও সোয়ান গার্মেন্ট শ্রমিক।

এছাড়া অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি জানান সংগঠনের উপদেষ্টা ও সিপিবি নেতা আব্দুল্লাহ আল ক্বাফি রতন, টিইউসি’র সহসভাপতি মাহাবুব আলম, সিপিবি নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স, ডা. সাজেদুল হক রুবেল, ক্ষেতমজুর নেতা আনোয়ার হোসেন রেজা, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর নেতা জামশেদ আনোয়ার তপন, হকার্স নেতা মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল। শ্রমিক নেতা আবুল হোসেন, জহিরুল ইসলাম, শামীম ইমাম, খালেকুজ্জামান লিপন, গোলাম কাদির, শহিদুল ইসলাম সবুজ, ছাত্র নেতা জি. এম. জিলানী শুভ। কর্মসূচি সঞ্চালনা করেন কে. এম. মিন্টু ও মঞ্জুর মঈন।

CPBকর্মসূচি শুরুর সময় প্রথমে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন নেতৃবৃন্দ। তবে পুলিশি বাধা উপেক্ষা করেই অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন তারা।

অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে তাদের দাবি তুলে ধরে জানানো হয় তিন মাসের বকেয়া বেতন ও বোনাস না দেওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবে সংগঠনটি।

তাদের দাবি সোয়ান গার্মেন্ট এর শ্রমিকদের তিন (০৩) মাসের বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধ, বে-আইনীভাবে বন্ধকৃত কারখানা খুলে দেওয়া এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার।

নেতৃবৃন্দ জানান, তাদের এই দাবিতে ইতোমধ্যে শ্রম মন্ত্রণালয় ও বিজিএমই-এ কার্যালয় ঘেরাও এবং প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি প্রদানসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সরকার ও মালিক সমিতির সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে আবেদনপত্র দিয়ে বারবার ধর্ণা দেওয়া হয়েছে।

Garmentsএক হাজার ৩০০ শ্রমিক কর্মচারী অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতর জীবন যাপন করছে। কেউই শ্রমিকদের দুঃখ দুর্দশার কথা বিবেচনায় নিয়ে সমাধান না করায় শ্রমিকদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।

কর্মসূচিতে উপস্থিত জাতীয় শ্রমিক নেতৃবৃন্দ এবং গার্মেন্ট শিল্পের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখবেন।

ঢাকা জার্নাল, জুলাই ১২, ২০১৫।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.