বাড়িভাড়া নির্ধারণে সরকারি কমিশন গঠনের নির্দেশ

জুলাই ১, ২০১৫

High_Court_ঢাকা জার্নাল: মালিক ও ভাড়াটিয়াদের বিরোধ নিষ্পত্তিসহ  বাড়িভাড়া নির্ধারণে উচ্চ ক্ষমতা সরকারি কমিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গঠনের পর এ সংস্থা এলাকাভেদে গণশুনানি করে ন্যায্য ভাড়া নির্ধারণ ও  মালিক ও ভাড়াটিয়াদের বিরোধের বিষয়ে সুপারিশ দেবেন।

বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত আইন কার্যকরের বিষয়ে জারি করা একটি রুলের রায়ে বুধবার (১ জুলাই) এ আদেশ দেন বিচারপতি বজলুর রহমান ও বিচারপতি রুহুল কুদ্দুসের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

ছয় মাসের মধ্যে সাত সদস্যের এ সংস্থা গঠন করতে হবে। যার নেতৃত্বে থাকবেন আইন মন্ত্রণালয়ের মনোনীত একজন আইনজ্ঞ। নগর ও গৃহায়ন বিশেষজ্ঞ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপক, অর্থনীতিবিদ, বাড়িভাড়া বিষয়ক এনজিও’র একজন প্রতিনিধি,পূর্ত মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় মনোনীত সিটি করপোরেশনের একজন প্রতিনিধি ও নাগরিক সমাজের একজন প্রতিনিধি কমিটিতে থাকবেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ কমিটি গঠন করবেন।

গঠনের পর এ কমিশন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে এলাকাভেদে মতামত, যুক্তি ও গণশুনানি করে ভাড়া নির্ধারণ করবেন। এছাড়াও মালিক ও ভাড়াটিয়াদের মধ্যে কি কি কারণে বিরোধ হয় সে বিষয়টি বের করবেন।

এ কমিশন সরকারের কাছে সুপারিশ উত্থাপন করবেন। এরপর সরকার বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন যুগোপযোগী করবে। আইন যুগোপযোগী না হওয়া পর্যন্ত  সরকারের আর্থিক সক্ষমতা সাপেক্ষে ওয়ার্ডভিত্তিক একজন রেন্টাল কন্ট্রোলার নিয়োগ করতে বলেছেন হাইকোর্ট।

এছাড়া ভাড়াটিয়াদের জোরপূর্বক উচ্ছেদ বা মালিকদের সঙ্গে ভাড়াটিয়াদের কোনো বিরোধ দেখা দিলে ভাড়াটিয়াদের স্বার্থ রক্ষায় সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে  নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রিট আবেদনের পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, মামলাটি চলমান থাকবে। যেকোনো প্রতিকারের জন্য আবেদনকারীরা আবার আদালতের কাছে প্রতিকার চাইতে পারবেন।

একটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১০ সালের ১৭ মে বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত আইন ও বিধি-বিধান কার্যকর করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানাতে সরকারের প্রতি ওই রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।

একই বছরের ২৫ এপ্রিল বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৯১ কার্যকরের নির্দেশনা চেয়ে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে রিটটি করা হয়।

রিট আবেদনে বলা হয়, বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইনে ভাড়ার রসিদ ও বাড়ি ছাড়ার জন্য নোটিশ দেওয়াসসহ বিভিন্ন বিধান থাকলেও বেশিরভাগ সময়  বাড়ির মালিকরা সেটা পালন করছেন না। এমনকি ঢাকা সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা অনুসারেও ভাড়া আদায় করা হচ্ছে না।

রিটের বিবাদী ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিব, আইন সচিব ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ সংশ্লিষ্টরা।

ঢাকা জার্নাল, জুলাই ০১,২০১৫

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.