বিমানে লোকসান ৮৭৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা
ঢাকা জার্নাল: গত তিন অর্থবছরে বিমানে লোকসান ৮৭৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা বলে জানিয়েছেন, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের টেবিলে উত্থাপিত বিরোধী দলের সংসদ সদস্য এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজানের লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী সংসদকে এ তথ্য জানান।
ফারুক খান বলেন, “বিমান সরকারের একটি লোকসানি প্রতিষ্ঠান। বিশ্ব বাজারে উড়োজাহাজের জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি ও পুরনো উড়োজাহাজ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনায় অধিকতর রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়ের কারণেও এই লোকসান দেখা দিচ্ছে।”
মন্ত্রী বলেন, “উড়োজাহাজের স্বল্পতার কারণে ঘন ঘন সিডিউল বিপর্যয়ের ফলে বিমান অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। তাই বিমানকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে পুরাতন উড়োজাহজের ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সিডিউল বিপর্যয় রোধ ও লোকসান কমিয়ে আনতে নতুন ৮টি উড়োজাহাজ ক্রয় করা হচ্ছে।”
সংসদ সদস্য এ কে এম মাইদুল ইসলামের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “বর্তমানে বাংলাদেশ বিমানে ৮টি উড়োজাহাজ রয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি নিজস্ব দু’টি লিজ নেওয়া। এসব বিমান ১৭টি আর্ন্তজাতিক ও দু’টি অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচল করছে।”
মন্ত্রী গত চার বছরে বিমানের মুনাফার চিত্র তুলে ধরে বলেন, “বিমান গত চার বছরের মধ্যে ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ১৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা মুনাফা অর্জন করলেও ২০০৯-১০ থেকে ২০১১-১২ অর্থবছর থেকে লোকসান শুরু হয়।”
লোকসানের চিত্র তুলে ধরে বলেন, “২০০৯-১০ অর্থবছরে লোকসানের পরিমাণ ৪৬ কোটি দুইলাখ টাকা। এরপর ২০১০-১১ অর্থবছরে ২২৪ কোটি ১৬ লাখ এবং ২০১১-১২ অর্থবছরে ক্ষতি হয় ৬০৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। গত তিন অর্থবছরে বিমানে লোকসান মোট ৮৭৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা।“
মন্ত্রী আরও বলেন, “বিমান বহরে নতুন উড়োজাহাজ যুক্ত করার মাধ্যমে আরও ২৩টি আর্ন্তজাতিক ও ৫টি অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে।”
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, জুন, ১১, ২০১৩
ঢাকা জার্নাল, জুন ১১, ২০১৩।