প্রিমিয়ার লিগ মাঠে গড়াবে ১ জুলাই
ঢাকা জার্নাল: প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে একটা অনিশ্চয়তা চলছিল বেশ কিছুদিন ধরে। সে অনিশ্চয়তা কেটেছে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান ক্লাবগুলোকে ১ জুলাই থেকে লিগ খেলতে রাজি করায়। প্রথমবারের মতো গ্রেডিং পদ্ধতি অনুসরণ করে ২০ জুলাই হবে দলবদল। ২০ থেকে তিন লাখ টাকার মধ্যে হবে খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক। মঙ্গলবার প্রিমিয়ার লিগ ক্লাব প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল হাসানের প্রশ্নোত্তর পর্বের চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো।
প্রশ্ন: ১ জুলাই থেকে লিগ খেলার ব্যাপারে প্রত্যেক ক্লাব কর্মকর্তা একমত হয়েছে কিনা?
নাজমুল হাসান: প্রত্যেকটা ক্লাবই লিগে খেলার পক্ষে। সবার সাথে আলাপ আলোচনা করে, সর্ব সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েই ঘোষণা করছি ২০ জুন দলবদল এবং ১ জুলাই খেলা শুরু করতে যাচ্ছি।
প্রশ্ন: জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা গতকালই আলাপ করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা গ্রেডিং পদ্ধতি চায় না। আপনাকেও তাদের দাবির কথা জানিয়েছেন। এসম্পর্কে আপনার অভিমত কী?
নাজমুল হাসান: গতবছর এক দুই জন খেলোয়াড় ছাড়া বেশিরভাগ খেলোয়াড় ৮-১০ লাখ করে পেয়েছেন। ৯৯ ভাগ খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি প্রভাব ফেলবে না। দুই তিনজন খেলোয়াড় এবার ক্ষতিগ্রস্ত হতে যাচ্ছে সেটা আমি অস্বীকার করবো না। আশা করবো ক্রিকেটের স্বার্থে তারা এবারের ক্ষতিটা মেনে নিবেন।
প্রশ্ন: জাতীয় দলের খেলোয়াড় এবং বোর্ডের সাথে চুক্তিবদ্ধ। শেষপর্যন্ত তারা যদি না খেলে সেক্ষেত্রে কোনো অ্যাকশনে যাবেন কিনা?
নাজমুল হাসান: আগাম কিছু বলা ঠিক হবে না। তারা যদি খেলতে রাজি না হয় তখন দেখা যাবে। সবাই খেলবে বলেই আমরা এখনও বিশ্বাসী। আমরা একটা জিনিস দেখেছি প্রতিবছরই ক্লাবগুলোর সাথে বিসিবির দূরত্ব বাড়ছিল। আমরা সেই দূরত্ব কমাতে চেষ্টা করছি যাতে করে খেলোয়াড়রা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, ক্লাবগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। ‘উইন উইন সিচুয়েশন’ তৈরির জন্য চেষ্টা করেছি।
প্রশ্ন: খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিকের জামিনদার কে হবে? যদি বিসিবি হয় সেক্ষেত্রে টাকাগুলো ঠিকমতো ক্রিকেটাররা পাবে কিনা?
নাজমুল হাসান: ক্লাব ক্রিকেটে টানা ছয়টা বছর ছিলাম আমি। পেমেন্ট নিয়ে কোনো সমস্যা হয়েছে এটা শুনিনি। এবারও পেমেন্ট ক্লাবগুলোই করবে। তবে চুক্তির মাধ্যমে হবে, আগে যেটা ছিল না। আমাদের কিছুটা নিয়ন্ত্রণ থাকবে কিন্তু ক্লাবগুলো স্বধীন।
প্রশ্ন: প্রিমিয়ার লিগেও কী খেলোয়াড় নিলাম হবে?
নাজমুল হাসান: এখানে লটারির মাধ্যমে প্রথম যে দল একজন খেলোয়াড় ডাকবে সে দ্বিতীয় খেলোয়াড় ডাকবে ১১ দল খেলোয়াড় নেওয়ার পর। এতে করে দলগুলোর মধ্যে ভারসাম্য থাকবে। রোটেশন পদ্ধতিতে খেলোয়াড় নিবে দলগুলো।
প্রশ্ন: ক্লাবগুলো অনুদান পাবে কিনা?
নাজমুল হাসান: গতবছর পেয়েছিল, এবার কিছু খরচ বেড়ে যাবে। প্রথমত বৃষ্টি, এরচেয়েও বড় সমস্যা হচ্ছে ঢাকায় কোনো মাঠ নেই। খেলতে হলে ঢাকার বাইরে খেলতে হবে। যদি হরতাল অবরোধ ঢাকার বাইরে চলতে থাকে, তাহলে খেলা চালানো কঠিন হয়ে যাবে। একটা মাঠ ঢাকায় আছে এখন পর্যন্ত আমরা জানি এখানে খেলা যাবে না। যেহেতু ঢাকায় খেলা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই, সেক্ষেত্রে কিছু অনিশ্চয়তা তো থেকেই যাবে। আমরা আরেকটি জিনিস ঠিক করেছি বৃষ্টি বা হরতালের জন্য খেলা বন্ধ থাকলে বডিলি শিফট হবে। সময় বেশি লাগলেও আমরা লিগটাকে শেষ করতে চাই। সেজন্য ক্লাবগুলো ক্ষতিপূরণ পেতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, ২১ মে ২০১৩