হেফাজত নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাকা অবরোধ
সংগঠনের মহাসচিব শাহ মো ওমর ফারুক বলেন, “হেফাজতে ইসলাম ৫ মে মতিঝিল শাপলা চত্বরে শান্তিপূর্ণ অবস্থানের অনুমতি নিয়েছে। কিন্তু তারা বায়তুল মোকাররমের আশেপাশে, গোলাপ শাহ মাজার, শাপলা চত্বরে তাণ্ডব চালিয়েছে। যা মেনে নেয়ার মতো নয়।”
এ সংগঠনের চেয়ারম্যান মাওলানা মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, “হেফাজতের তাণ্ডবে সরকারি, বেসরকারি ও সামাজিক, রাজনৈতিক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান রেহাই পায়নি। এমনকি ফুটপাতের নিঃস্ব-গরীব হকারদের দোকানপাট- ভ্যানগাড়ি, প্রাইভেট গাড়ি, বাসে আগুন দিয়েছে। হেফাজতে ইসলাম ও জামায়াত-শিবিরের এই কার্যকলাপ স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশের সংবিধান পরিপন্থী।”
ঢাকা অবরোধ কর্মসূচিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হরকাতুল জিহাদ, হিজবুত তাহরির, জামায়াত-শিবির ও বিএনপির নেতাকর্মীদের সহয়তা নিয়েছিল হেফাজতে ইসলাম। একারণে দেশে গণতন্ত্রের ধারা অব্যহত রাখতে হেফাজতকে নিষিদ্ধ করা উচিত সরকারের বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মো. ইসমাইল হোসেন ঘোষনা দেন, সরকার আগামী ২০ মে’র মধ্যে হেফাজতে ইসলামকে নিষিদ্ধ না করলে ২১ মে দেশের সকল মসজিদে দোয়া, ২২ মে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশ ও ২৩ মে ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন সদস্য ডা. আল ইমরান, আহাদ আলী নিলফামারী, নুর মোহাম্মদ , আরিফ উদ্দিন সোহরওয়ার্দী।