পদ্মা সেতু নির্মাণ : চীনের সহযোগিতা চাইলেন রাষ্ট্রপতি
মঙ্গলবার বিকালে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জুন বঙ্গভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ সহযোগিতা চান।
চীনের রাষ্ট্রদূতকে বঙ্গভবনে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, চীন অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী এবং এশিয়ার অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তি হওয়ায় সে দেশের সঙ্গে সম্পর্ককে বাংলাদেশ খুবই গুরুত্ব দেয়।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দেশের অর্থনীতি জোরদারে সোনাদিয়া দ্বীপে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণে চীনের সহযোগিতা চান। বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রচেষ্টায় অব্যাহত সমর্থন দেয়ায় রাষ্ট্রদূতদের মাধ্যমে চীন সরকারকে অভিনন্দন জানান তিনি।
দেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ায় আবদুল হামিদকে রাষ্ট্রদূত চীনের প্রেসিডেন্ট ও চীনের জনগণের অভিনন্দন পৌঁছে দেন।
লি জুন মিয়ানমারের মধ্য দিয়ে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ গড়ে তোলার আগ্রহ ব্যক্ত করেন। সরাসরি এ সড়ক যোগাযোগে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ব্যবসা ও বাণিজ্যের সম্পর্ক আরো বাড়বে।
বাংলাদেশকে চীনের পরীক্ষিত বন্ধু ও উন্নয়ন অংশীদার উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত জানান, তার দেশ অবকাঠামো খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহযোগিতা দিতে আগ্রহী।
রাষ্ট্রপতিকে আগামী ৬ থেকে ১০ জুন চীনের কুনমিংয়ে অনুষ্ঠিতব্য ‘প্রথম চীন-দক্ষিণ এশিয়া এঙপো-২০১৩’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদানের আমন্ত্রণ জানান রাষ্ট্রদূত। তিনি রাষ্ট্রপতিকে আশ্বস্ত করেন, আসছে দিনগুলোতে বাংলাদেশে চীনের সাহায্য-সহযোগিতা বাড়বে।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিবরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন