মার্চ থেকে নভেম্বর স্যুট-টাই পরবেন না
ঢাকা জার্নাল: গরমের দিনেও এক শ্রেণীর কর্মকর্তা স্যুট-টাই পরে অফিস করেন। কারণ অফিসে ফিট করা রয়েছে এয়ারকুলার। গাড়িতেতো রয়েছেই। কিন্তু দেশে বিদ্যুতের যে হাল তাতে এমন ধরণের ভদ্রতা না করাই ভাল। তাই এর আগেই বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল মার্চ থেকে নভেম্বর পুরুষরা স্যুট-টাই পরবেন না। কিন্তু অনেকেই এই নির্দশনা মানেননি।
আর সে কারণে সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এক পরিপত্র জারি করে আবারো নির্দেশনা দেওয়া হল মার্চ থেকে নভেম্বর সরকারী বেসরকারী ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের পুরুষ কর্মকর্তারা স্যুট-টাই পরবেন না।
মার্চ থেকে নভেম্বর সময়ে আনুষ্ঠানিক বাধ্যবাধকতা ছাড়া স্যুট-টাই পরিধান না করে প্যান্ট-শার্ট (অর্ধ/পুরা হাতা) পরার নির্দেশনা দিয়ে এই পরিপত্র জারি করে সরকার। এয়ারকুলার ব্যবহারে বিদ্যুৎ সাশ্রয় নিশ্চিত করতে এই পরিপত্র জারি করা হয়।
সরকারী তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, বিদ্যুতের সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকারি বেসরকারি সকল এয়ারকুলার ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার ঊর্ধ্ব তাপমাত্রায় ব্যবহার সংক্রান্ত সরকারি সিদ্ধান্ত বিদ্যুৎ বিভাগ হতে ইতোপূর্বে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করা হয়েছে।
এয়ারকুলারের তাপমাত্রা এবং কর্মকর্তাদের গ্রীষ্মকালীন পোশাক সম্পর্কিত উল্লিখিত সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে না বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সোমবারের পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়।
সব সরকারি, আধাসরকারি, স¦ায়ত্তশাসিত, আধাস্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের এয়ারকুলার তাপমাত্রা ও গ্রীষ্মকালীন পোশাক সংক্রান্ত সিদ্ধান্তসমূহের যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে পুনরায় অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এয়ারকুলারের তাপমাত্রা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের মাধ্যমে বেসরকারি খাতকে অবহিত করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে এবং বেসরকারি সে¦চ্ছাসেবী সংস্থাসমূহকে অবহিত করতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও এনজিও বিষয়ক ব্যুরোকে অনুরোধ করা হয়েছে।
ঢাকা জার্নাল, মে ১৩, ২০১৩