জামায়াত নেতা একেএম ইউসুফ গ্রেপ্তার
রোববার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে ধানমণ্ডি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাকে ধানমণ্ডি থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়।
মানবতাবিরোধী অপরাধে ইউসুফের বিরুদ্ধে ১৫টি অভিযোগ আমলে নিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। হত্যা, গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও ধর্মান্তরে বাধ্য করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এর মধ্যে খুলনায় ৭০০ জনকে গণহত্যা, ৮ জনকে হত্যা এবং ২০০ মানুষকে ধর্মান্তরে বাধ্য করার অভিযোগ অন্যতম।
এই জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে চলতি বছরের ২২ এপ্রিল চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনে জমা দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। এ প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করে তাকে গ্রেপ্তারের আবেদন জানানোর জন্য প্রসিকিউশন টিমকে অনুরোধ জানান তদন্ত কর্মকর্তারা।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের প্রসিকিউশন টিম জানিয়েছেন, ইউসুফের বিরুদ্ধে জব্দ তালিকার ৬ জন সাক্ষীসহ মোট ৭১ জন সাক্ষী করা হয়েছে।
১৯৭১ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দালালি করার দায়ে মুক্তিযুদ্ধের পর দালাল আইনে একেএম ইউসুফের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল।
এছাড়া, একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আলবদর নেতা চৌধুরী মঈনউদ্দিন ও মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান খানকে ট্রাইবুনালে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দিয়েছে আদালত। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ১০ দিনের মধ্যে তাদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইবুনাল।