শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ, বিজিবি মোতায়েন
এসময় উত্তেজিত শ্রমিকরা আব্দুল্লাপুর বাইপাইল সড়ক অবরোধ করে রাখলে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ার গ্যাস শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাতে হা-মীম গ্রুপের পোশাক কারখানার চতুর্থ তলার টয়লেটের ভেতর থেকে পারুল নামে এক অপারেটরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।পরে রোববার সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে এসে শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধারের খবর শোনে উত্তেজিত হয়ে পড়ে। এসময় তারা কারখানার বাইরে এসে আব্দুল্লাপুর বাইপাইল সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে।
অপরদিকে আশুলিয়ার নরসিংহপুরের জামগড়া এলাকার পলমল গার্মেন্টেসের শ্রমিকরা বকেয়া বেতন, বেতন বৃদ্ধি, সাভারের রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার ফাঁসি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মুরাদ জংয়ের শাস্তির দাবিতে এ বিক্ষোভ করে।
এসময় আশপাশের অন্য কারখানার শ্রমিকরাও রানা ও মুরাদ জংয়ের ফাঁসির দাবিতে সেখানকার সড়ক অবরোধ করে স্লোগান দেয়।
খবর পেয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশ ও শিল্প-পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে চাইলে সংঘর্ষ বাধে। আধা ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে প্রায় ২০ শ্রমিক আহত হয়। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে কয়েক রাউন্ড টিয়ার গ্যাস শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় উত্তেজিত শ্রমিকরা মহাসড়কে বেশ কিছু যানবাহন ভাঙচুর করে।
যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সেখানে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।