‘টি-২০ ক্রিকেটের প্রাণ’
টি-২০ ক্রিকেট নতুন প্রাণ দিলেও টেস্ট নিয়ে বেশ চিন্তিত রিচার্ডস। আর বর্তমানে বেশ খারাপ অবস্থাতেই রয়েছে টেস্ট ক্রিকেট বলে মনে করেন তিনি। রিচার্ড বলেন, ‘আমি অনুভব করতে পেরেছি টেস্ট ক্রিকেট বর্তমানে মুমূর্ষ অবস্থায় রয়েছে। পুরো বিশ্বে এখন অনেক কম দর্শকই টেস্ট ম্যাচ দেখে। একমাত্র ভারত ছাড়া, কোথাও তেমন দর্শক দেখা যায় না। ভারতে টেস্ট ম্যাচ হলে দর্শকরা মাঠে আসে এবং খেলাও দেখে। কিন্তু অন্যান্য ভেন্যুতে তেমন দর্শক দেখা যায় না।’
১৯৭৪ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সি গায়ে খেলেছেন রিচাডর্স। আর ওই সময় হেলমেট ছাড়াই বাঘা বাঘা বোলারদের সামলিয়েছেন তিনি। সেই স্মৃতি মনে করিয়ে দিতেই রিচাডর্স বলেন, ‘হেলমেটটা কোন বিষয়ই ছিল না। আমি সবসময় ক্যাপ পড়ে খেলতেই খুব বেশি পছন্দ করতাম। আমার মনে হতো ক্যাপ দিয়ে খেলতে পারলেই দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্বটা খুব বেশি ফুটে উঠে। ব্যাটসম্যান-বোলার যে হিসেবেই খেলি না কেন, দেশের হয়ে খেলতে পারাটাই সবচেয়ে বেশি সম্মানের। আমি গর্বিত যে দেশের হয়ে অনেকদিন খেলতে পেরেছি।’
১৯৯১ সালে ক্রিকেট থেকে অবসর নেন রিচাডর্স। অবসর নেবার মুহূর্ত সম্পর্কে নিয়ে তিনি বলেন, ‘১৯৯১ সালে যখন আমি অবসর নিই, তখন মনে হয়ে ছিল আমি মৃত্যুবরণ করেছি। কিন্তু ভারতে এসে আইপিএলের একটি দলের সাখে যুক্ত হতে পেরে আমার মনে হচ্ছে আমি নতুন জীবন পেয়েছি।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ১২১টি টেস্ট ও ১৮৭টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেন ৬১ বছর বয়সী রিচার্ডস। ২৪টি সেঞ্চুরিতে টেস্টে ৮,৫৪০ রান এবং ১১টি সেঞ্চুরি ওয়ানডেতে ৬,৭২১ রান করেন তিনি।
বল হাতে টেস্টে ৩২ ও ওয়ানডেতে ১১৮ উইকেট শিকার করেন রিচাডর্স।