রিয়াল মাদ্রিদ সবকিছু নিজেদের সম্পত্তি মনে করে: আগুয়েরো
ঢাকা জার্নাল ডেস্ক
ব্যালন ডি’অর নিয়ে বিতর্ক থামার যেন নামই নেই। ভিনিসিউস জুনিয়রকে পেছনে ফেলে ম্যানচেস্টার সিটির মিডফিল্ডার রদ্রির হাতে এই পুরস্কার ওঠার বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। ভিনির ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ তো পুরস্কার বিজয়ীর নাম নিশ্চিত হওয়ার পরই পুরো অনুষ্ঠানই বয়কট করেছে। ফ্রান্স ফুটবলের নেয়া সিদ্ধান্তের পক্ষে-বিপক্ষে হচ্ছে ব্যাপক আলোচনা। এমনকি রদ্রির হাতে ব্যালন ওঠার পেছনে ইউরোপের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফার হাত আছে বলেও মনে করে খোদ রিয়াল মাদ্রিদ!
গতকাল মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রদ্রির ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলাও স্বীকার করেছেন, ব্যালন ডি’অর সম্ভবত ব্রাজিলিয়ান তারকারই পাওনা ছিল। কিন্তু সিটিরই কিংবদন্তি স্ট্রাইকার সার্জিও আগুয়েরো রদ্রিকেই যোগ্য দাবিদার হিসেবে দাবি করেছেন। একই সঙ্গে রিয়াল মাদ্রিদকে কিছু খোঁচা শুনিয়ে দিতেও দেরি করেননি।
গত সোমবার (২৮ অক্টোবর) ব্যালন ডি’অর ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগেও ভিনিসিউসকেই সম্ভাব্য বিজয়ী হিসেবে মনে করা হচ্ছিল। রিয়াল মাদ্রিদও পুরস্কার নিতে দল বেঁধে ফ্রান্সে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল। কিন্তু রদ্রির জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার পর সেই পরিকল্পনা বাতিল করে। ক্লাবটি মনে করে, উয়েফা পেছন থেকে কলকাঠি নেড়ে তাদের খেলোয়াড়কে হারিয়ে দিয়েছে। তারা ব্যালন ডি’অর দেয় যে সাময়িকী, সেই ফ্রান্স ফুটবলের বিরুদ্ধে ‘অমর্যাদা’র অভিযোগ আনে এবং অনুষ্ঠান বয়কট করে।
রিয়ালের প্রায় সকল খেলোয়াড় এবং সাবেকরাও ভিনিসিউসের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ভিনিসিউসের সতীর্থ এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা তো দাবি করেছেন ফুটবলীয় রাজনীতির জন্যই ব্রাজিলিয়ান তারকা হেরে গেছেন। সমর্থকরাও মনে করেন রদ্রির ব্যালন ডি’অর জয় ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ডাকাতি।
তবে ম্যানচেস্টার সিটির আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি সার্জিও আগুয়েরোর চোখে অবশ্য রদ্রিই বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়। যোগ্য হিসেবেই এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার ব্যালন ডি’অর জিতেছে বলে মনে করেন তিনি। একই সঙ্গে রিয়াল মাদ্রিদকেও খোঁচা দিয়েছেন তিনি।
আগুয়েরো বলেন, ‘রদ্রি বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়। পুরস্কারটা আসলে ওপর প্রাপ্য ছিল। দেখুন, ফুটবল খেলাটা শুধু রিয়াল মাদ্রিদের জন্য নয়। এটা সবার খেলা। সবকিছুই ওরা (রিয়াল মাদ্রিদ) নিজেদের সম্পত্তি মনে করে!’
২০২২-২৩ মৌসুমে ক্লাবের জার্সিতে ট্রেবল জিতেও ব্যালন ডি’অরে পঞ্চম হয়েছিলেন রদ্রি। গত মৌসুমেও ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে বেশ কয়েকটি শিরোপা জিতেছেন। স্পেনের হয়ে ইউরো জয়ের পাশাপাশি সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। ম্যানচেস্টার সিটির হয়েও প্রিমিয়ার লিগ, ক্লাব বিশ্বকাপ এবং উয়েফা সুপার কাপ জিতেছেন। জাতীয় দল ও ক্লাবের হয়ে শেষ ৮৫ ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে হেরেছেন। এফএ কাপের ফাইনালে এরিক টেন হ্যাগের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে হেরে গিয়েছিল সিটি।