স্পটলাইট

যেসব পুলিশ সদস্য কাজে যোগ দেয়নি তারা ‘ক্রিমিনাল’: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ঢাকা জার্নাল ডেস্ক:

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে এখনও অনেক পুলিশ সদস্য পলাতক রয়েছেন। তাদের কাজে ফিরতে সময় বেঁধে দেওয়া হলেও এখনও অনেকে যোগ দেননি। এমন পরিস্থিতিতে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে সরকার।

যেসব পুলিশ সদস্য কাজে যোগ দেয়নি তাদের ক্রিমিনাল আখ্যা দিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, পুলিশের যেসব সদস্য এখনও যোগদান করেননি তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

কত পুলিশ এখনও কাজে ফেরেনি জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ১৮৭ জনের মতো ছিল। পরে মনে হয় আর কেউ যোগদান করেননি। যারা এখনও যোগদান করেনি তাদের আমরা পুলিশ বলব না। তাদের ক্রিমিনাল বলব।

তিনি আরও বলেন, আজ ছিল আইনশৃঙ্খলা উপদেষ্টা কমিটির দ্বিতীয় সভা। বেলা ১১টায় এ বৈঠক শুরু হয়েছে। আসন্ন দুর্গাপূজা যাতে নির্বিঘ্ন হতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আশা করছি, এবারের পূজা সবচেয়ে নির্বিঘ্ন হবে, সবচেয়ে ভালো হবে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আশুলিয়ায় শিল্প কারখানায় যে ঝামেলা চলছে, তা নিয়েও কথা বলেছি। অস্ত্র উদ্ধার অভিযান ও মাদকের ব্যবহার রোধ নিয়েও বিস্তারিত কথা বলেছি। মিয়ানমার সীমান্ত নিয়েও আমরা কথা বলেছি।

দুর্গাপূজা নির্বিঘ্ন করতে যা যা প্রয়োজন সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আশা করব এবারের পূজা আগের বারের চেয়ে অনেক ভালো হবে। এজন্য সবার সাহায্য ও সহযোগিতা দরকার। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি যেটা হয়েছে, সেটা সন্তোষজনক। যত দিন যাবে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে।

অবশ্য পূজার ছুটি তিনদিন করার দাবি নিয়ে বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়নি বলেও জানিয়েছেন উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমাদের এখানে কোনো আলোচনা হয়নি। এমনকি পূজার তিনদিন ছুটি করা নিয়ে আমি কোনোদিন বলিনি। এটা আমার পারভিউয়ের (আওতায়) মধ্যে পড়ে না।

উপদেষ্টা আরও বলেন, এছাড়া বিভিন্ন মাজার ও দরগায় কীভাবে নিরাপত্তা দেওয়া যায়, তা নিয়ে বৈঠকে আমরা আলোচনা করেছি। বিশেষ করে গার্মেন্টস খাত নিয়ে আমরা কথা বলেছি।

পার্বত্য চট্টগ্রামের বিষয়ে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিচুক্তি হওয়ার পর ইউপিডিএফ হাতিয়ার সমর্পণ করেনি। জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) কেবল হাতিয়ার সমর্পণ করেছিল। ইউপিডিএফ ও জেএসএসের মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঝামেলা আছে। অন্য যারা আছে, তাদের মধ্যেও ঝামেলা আছে। তারা মিলেমিশে কীভাবে থাকতে পারে, সেটা নিয়ে ব্যবস্থা করতে হবে।

উপদেষ্টা আরও বলেন, অনেক সময় তারা বাইরে থেকেও কিছু অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন। ওটা যাতে না পায়, সেটার একটা ব্যবস্থা করতে হবে।

পুলিশ বাহিনী সংস্কার নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশ সংস্কারের কাজ ১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়ার কথা। সংস্কারের কাজটা আমি করছি না, এজন্য আলাদা কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। ওই কমিটি কাজটি করবে। তারা আমাদের কাছে প্রতিবেদন দেবেন, সেই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে সংস্কার হবে।