রাজনীতিসারাদেশ

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের পরিবর্তে ক্লাস নিচ্ছেন দপ্তরী

ঢাকা জার্নাল ডেস্ক: মো. ময়নুল হোসাইন, উল্লাপাড়া

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বজ্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ২০০ জন শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষক রয়েছেন ৭ জন। শিক্ষকের সংকট না থাকলেও এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করেন বিদ্যালয়ের দপ্তরী মিজান হোসেন।

প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানান যায়, ৪০ জন শিক্ষার্থীদের জন্য ১ জন করে শিক্ষক বরাদ্দ রয়েছে। সেই হিসাবে এই স্কুলে শিক্ষককের কোন সংকট নেই। তবে প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষক সহ দুই জন ছুটিতে রয়েছেন।

রোববার সকালে সদর ইউনিয়নের ছাত্রদের প্রতিনিধি মো. হৃদয় সোহেন বেলা সাড়ে ১২টায় বিদ্যালয়টিতে গিয়ে দেখে দপ্তরী মিজান হোসেন শিশু শ্রেনীর ১৫-২০ জন শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিচ্ছেন। বিষয়টি তখন তার দৃষ্টিগোচর হলে তিনি ছবি তুলে রাখেন। এবং দ্বিতীয় তলায় গিয়ে দেখে কয়েক জন শিক্ষক ক্লাস না নিয়ে বসে আছেন।

এবিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক জেসমিন আরা খাঁনম বলেন, পারিবারিক সমস্যার কারনে আমি ছুটিতে আছি, তবে ঘটনাটি আমি জেনেছি। আমার অবর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন সহকারী শিক্ষক বিলকিছ জাহান তিনি বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন।

মুঠোফোনে বিলকিস জাহানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্কুলে মোট শিক্ষক রয়েছে ৭ জন এর মধ্যে ২ জন ছুটিতে রয়েছে। তবে দপ্তরী কখন শিশু শ্রেনীর ক্লাসে গিয়েছিলেন বিষয়টি তার জানা নেই।

অভিযুক্ত দপ্তরী মিজান হোসেন বলেন, শিশু শ্রেণির শিক্ষক হাবিবা ছুটিতে থাকায় আমি ক্লাসে গিয়েছিলাম। তবে ক্লাস নেওয়াটা আমার ভুল হয়েছে। বিষয়টি আমার জানা ছিলো না।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ছানোয়ার হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী কমকর্তার মাধ্যমে জেনেছি। ইতিমধ্যে স্কুলের শিক্ষকদের অফিসে ডাকা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মাদ হাসনাত বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখ জনক। শিক্ষকদের অবহেলার কারনেই এমনটা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।