Leadআন্তর্জাতিকশীর্ষ সংবাদসংবাদ শিরোনাম

ট্রাম্পের ওপর হামলা: এখন পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে 

ঢাকা জার্নাল ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর দেশটির স্থানীয় সময় শনিবার হামলা হয়েছে। এই হামলার পর একজন পুরুষ হামলাকারী দেশটির সিক্রেট সার্ভিস সদস্যদের গুলিতে নিহত হয়েছে। সেইসঙ্গে আরও একজন দর্শক নিহত হয়েছেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। 

ট্রাম্প এই হামলা সম্পর্কে বলেন, গুলি তার কানে লেগেছে এবং মনে হয়েছে বুলেট চামড়া ঘেঁষে চলে গেছে। মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস জানিয়েছে, এ হামলায় আরও দুজন গুরুতর আহত হয়েছে।

বিবিসি বলছে, পেনসিলভানিয়ায় সমাবেশে ট্রাম্পের ওপর দৃশ্যত প্রাণঘাতী হামলার চেষ্টা হয়েছে। এক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ট্রাম্প মেঝেতে বসে পড়ছেন এবং এরপর তিনি যখন দাঁড়ান তখন তার মুখের এক পাশে রক্ত দেখা যাচ্ছিল।

সিএনএনের লাইভ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ঘটনার পর ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ ছাড়া পেনসিলভানিয়ার গভর্নর যশ শাপিরো ও বাটলার এবং মেয়র বব ডানডয়ের সঙ্গেও কথা বলেছেন বাইডেন।

এ নিয়ে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আজ রাতে প্রেসিডেন্ট ওয়াশিংটন ডিসিতে ফিরছেন এবং আগামীকাল সকালে হোয়াইট হাউসে ফিরবেন। তিনি নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের কাছ থেকে হামলার আপডেট তথ্য নেবেন।

তবে ট্রাম্পের সঙ্গে বাইডেনের কী কথা হয়েছে- এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।  জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

বাইডেন বলেছেন, এ ধরনের সহিংসতার কোনো জায়গা আমেরিকায় নেই। এটা জঘন্য, জঘন্য। আমি নিশ্চিত করতে চাই যে আমাদের কাছে সব তথ্য আছে।

বাইডেন আরও বলেন, পেনসিলভানিয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশে গুলির ঘটনা আমি অবহিত হয়েছি।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেছেন, তিনি সমাবেশে বাইরে ছিলেন এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট কী বলছিলেন সেটিই কেবল শুনতে পারছিলেন। তখনি ছাদে থাকা এক ব্যক্তি তার নজরে আসে।

গ্রেইগ নামের ওই ব্যক্তি বলেন, আমরা লক্ষ্য করি যে ওই ব্যক্তি আমাদের পাশের ভবনের ছাদে অগ্রসর হচ্ছে, ৫০ ফুট দূরে ছিল আমাদের।

তিনি জানান, তার কাছে একটা রাইফেল ছিল, আমরা পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছিলাম যে একটা রাইফেল ছিল। গ্রেইগ বলেন, আমি ভাবছিলাম ট্রাম্প কেন এখনো বক্তব্য দিয়েই যাচ্ছেন। তাকে কেন স্টেজ থেকে নামানো হচ্ছে না। তার দিকে দৃষ্টি দিয়ে আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম। এরপর পাঁচটি গুলির শব্দ। তবে এসব তথ্যের সত্যতা বিবিসির পক্ষ থেকে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

জেন এবং থেরেসা নামে আরও দুজন প্রত্যক্ষদর্শী বাটলার কাউন্টির ওই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। বিবিসি নিউজকে তারা জানান, আমরা ছয় থেকে আটটি গুলির শব্দ শুনেছি। থেরেসা বলেছেন, আমি ঠাস করে একটা শব্দ শুনলাম, একটি বিলম্বে আবার দুটি শব্দ হলো। আমি তখনি বুঝতে পারছিলাম যে এটা গুলি…লোকজন দৌড়াদৌড়ি শুরুর ৩০-৪৫ সেকেন্ডের মধ্যে।

তবে তারা বলেছেন যে তারা কাউকে আহত হতে দেখেননি।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেনসিলভানিয়ার বাটলারে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্য শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যে গুলির শব্দ শোনা যায়। এর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই সিক্রেট সার্ভিস সদস্যরা ট্রাম্পকে ঘিরে ফেলেন। এরপর তার কানে ও মুখের এক পাশে রক্ত দেখা গেছে।

মঞ্চ থেকে নামিয়ে গাড়িতে ওঠানোর সময় ট্রাম্পকে মুষ্টিবদ্ধ হাত আকাশের দিকে তুলতে দেখা যায়। সিক্রেট সার্ভিস মুখপাত্র অ্যান্থনি গুগলিয়েলমি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট নিরাপদ আছেন এবং ঘটনাটি সিক্রেট সার্ভিস তদন্ত করছে।

এ ছাড়া ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচার দল জানিয়েছে, সাবেক প্রেসিডেন্ট এখন ‘ভালো আছেন’।