পোশাকশিল্পে কর্মপরিবেশ উন্নত করতে ব্যবস্থা নেবে ইইউ
ঢাকা জার্নাল: বাংলাদেশের সাভারে একটি বহুতল ভবন ধসে পড়ে চার শতাধিক লোক নিহত হবার ঘটনার পর ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বলছে, তারা দেশটির তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ উন্নত করার জন্য কিছু পদক্ষেপ নেবার কথা চিন্তা করছে।
ধসে পড়া ওই নয়তলা ভবনটিতে বেশ কয়েকটি তৈরি রপ্তানীমুখী পোশাক কারখানা ছিল এবং নিহতদের অধিকাংশই ওই কারখানাগুলোর শ্রমিক।
এই ঘটনার পর বিশ্বব্যাপী ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে যে, যেসব উন্নয়নশীল দেশ থেকে তৈরি পোশাক শিল্পের চালানগুলো আসে – সেখানকার কারখানাগুলোয় কি পরিবেশে শ্রমিকরা কাজ করে – সেদিকে নজর দিতে হবে।
বুধবার এক বিবৃতিতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বলেছে, যেসব উন্নয়নশীল দেশ থেকে ইউরোপের বাজারে পোশাক রপ্তানি হয় তাদের কারখানাগুলো ব্যবস্থাপনায় যেন আরো দায়িত্বশীলতা আনা যায়, সে জন্য তারা জিএসপি পদ্ধতিকে কাজে লাগাতে পারে।
বাংলাদেশও জিএসপি নামে এই বাণিজ্য-অগ্রাধিকার ব্যবস্থার সুবিধে পায় – যার ফলে তাদের তৈরি পোশাক কোন রকম কোটা এবং শুল্ক ছাড়াই ইউরোপের বাজারে ঢুকতে পারে।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন বলছে, তারা বাংলাদেশের শ্রমিকদের অবস্থা নিয়ে ‘অত্যন্ত উদ্বিগ্ন’।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন এ্যাশটন, এবং বাণিজ্য কমিশনার কারেল ডি গুশট বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ইইউ কিছু উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবার কথা বিবেচনা করছে, যার মধ্যে জিএসপি পদ্ধতিকেও কাজে লাগানোর কথা আছে। লক্ষ্য হলো এর মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে তৈরি পোশাকের যে সরবরাহ ব্যবস্থা আছে তার দায়িত্বশীল ব্যবস্থাপনাকে উৎসাহিত করা যায়।”
এর আগে গত কয়েক দিনে পোশাক বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান প্রাইমার্ক বলেছে, তাদের সরবরাহকারী হিসেবে কাজ করতো এমন যেসব প্রতিষ্ঠানের কর্মী ওই ভবন ধসের ঘটনায় শিকার হয়েছে, তাদেরকে ক্ষতিপূরণ এবং খাদ্য সাহায্য দেয়া হবে।
কানাডার পোশাক বিক্রেতারাও এ ঘটনার পর নতুন বাণিজ্য নীতিমালা তৈরির কথা বলেছে।