স্পটলাইট

সাহস থাকলে তারেক রহমান দেশে আসুক: শেখ হাসিনা

সাহস থাকলে তারেক রহমানকে দেশে ফিরতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জিয়া পরিবারকে ‘খুনি পরিবার’ আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়া পরিবার মানেই হচ্ছে খুনি পরিবার। বাংলাদেশের মানুষ ওই খুনিকে (তারেক রহমান) ছাড়বে না, বাংলাদেশের মানুষ ওদের ছাড়বে না। এই বাংলাদেশে খুনিদের রাজত্ব আর চলবে না।’

সোমবার (২১ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ১৯তম বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অস্থায়ী স্মৃতিফলকের বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী।

পরে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে সরকার প্রধান বলেন, ‘একুশে আগস্ট হত্যার বিচার হয়েছে, রায় হয়েছে। কাজেই এই রায় কার্যকর করা উচিত। কিছু আছে কারাগারে, কিন্তু মূলহোতা (তারেক রহমানকে ইঙ্গিত করে) তো বাইরে। সে তো মুচলেকা দিয়ে বাইরে চলে গেছে। তো সাহস থাকলে আসে না কেন বাংলাদেশে? আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, সেই সুযোগ নিয়ে লম্বা লম্বা কথা বলে। আর কত হাজার হাজার কোটি টাকা চুরি করে চলে গেছে, সেই টাকা খরচ করে। তো সাহস থাকলে বাংলাদেশে আসুক। ওদের (বিএনপির সমাবেশে) কিছু লোক হয়, সেই দেখে তার লম্ফঝম্ফ। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষকে সে চেনেনি। এই বাংলাদেশে খুনিদের রাজত্ব আর চলবে না।’

এসময় একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহতদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনারা মানুষের কাছে যান। বলেন, কী করে খালেদা জিয়া-তারেক জিয়া আপনাদের জীবনটাকে ধ্বংস করেছে। কীভাবে তারা দেশ লুটপাট করেছে। স্বাধীনতার চেতনা ধ্বংস করেছে। নিজেরাও অর্থসম্পদের মালিক হয়েছে।’

দেশবাসীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘মানুষ সজাগ থাকবে। ওই খুনিদের হাতে যেন এই দেশের মানুষ আর নিগৃহীত হতে না পারে। অগ্নিসন্ত্রাস আর জুলুমবাজি করে এ দেশের মানুষকে হত্যা করতে না পারে। মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে। খুনি, দুষ্কৃতকারী, অস্ত্র চোরাকারবারি, ঘুষখোররা যেন মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে। ওই খুনিদের প্রতি ঘৃণা সকল জনগণের, সকলে তাদের ঘৃণা জানাবে। সবাই নিরাপদ থাকেন ভালো থাকেন। যতক্ষণ বেছে আছি এ দেশের মানুষের সেবা করে উন্নত জীবন দিয়ে যাবো। মর্যাদা নিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।’

বিএনপি-জামায়াতের প্রতি অভিযোগ তুলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর তো হামলা করেছেই। সাধারণ মানুষও ওদের হাত থেকে রেহাই পায়নি। ঘাতক ঘাতকই। ওরা তো জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল। ওরা তো জনগণকে হত্যা করেছে। বাসে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারছে। পেট্রোল ঢেলে আগুন দিচ্ছে। হাত-পা ধরে কান্নাকাটি করলেও ছাড়ে না। এটাই তো বিএনপির আসল চেহারা। এটাই বিএনপির চরিত্র। এর নেতৃত্ব খালেদা জিয়া-তারেক জিয়া তারাই তো দিচ্ছে। তারা ক্ষমতায় থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে। মানুষকে কী দিয়েছে? মানুষ তো ক্ষুধার্ত ছিল।’

বাংলাদেশের নির্বাচন ও গণতন্ত্র নিয়ে সমালোচনাকারীদের উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ তারা ভোটের অধিকারের কথা বলে, আর কিছু আছে তাদের ভাড়া করা; তারা মানবাধিকারের কথা বলে। যারা বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্নে তোলে, তাদের কাছে আমার প্রশ্ন– আমরা যারা আপনজন হারিয়েছি, আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী তাদের আপনজন হারিয়েছে বিএনপি-জামায়াতের কাছে, তাদের মানবাধিকার কোথায়? আমরা বিচার পাইনি। আমরা কেন বিচারবঞ্চিত ছিলাম। যারা রক্তগঙ্গা বইয়ে দিয়েছে, তাদের বিচারের হাত থেকে রেহাই দিয়েছে (বিএনপি-জামায়াত সরকার)।’

তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অনেক সংস্থা দেখি বাংলাদেশের মানবাধিকারের কথা বলে, তাদের (বিএনপি) শেখানো বুলি যারা বলেন; তাদের কাছেও আমার প্রশ্ন– এ দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন বারবার হয়েছে। যার মূলহোতা জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া-তারেক জিয়াসহ জামায়াতের যুদ্ধাপরাধীরা। তারা এখনও করে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর থেকে মানবাধিকার সংরক্ষণ হয়েছে। মানুষ ন্যায়বিচার পায়। কেউ অপরাধ করলে তার বিচার আমরা করি। কিন্তু আমরা তো বিচার পাইনি। কেন ৩৩ বছর সময় লেগেছে বিচার পেতে। কী অপরাধ করেছিলাম যে আমরা বিচার পাইনি। বিচারের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।’ এ সময় আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী।

একুশে আগস্টের ঘটনা বর্ণনা করে ওই ঘটনার প্রধান শিকার শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে র‌্যালি করছিলাম। আর সেখানেই প্রকাশ্য দিবালোকে হাজার হাজার মানুষের মধ্যে আর্জেস গ্রেনেড হামলা হয়। যুদ্ধের সময় যে গ্রেনেড ব্যবহার হয়, সেটা সেখানে ছোড়া হলো। মানুষের নিরাপত্তার জন্য যখন আমরা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করছি; সেই মিছিলের ওপর ১৩টি গ্রেনেড হামলা হলো। আর কতগুলো যে ওদের হাতে ছিল কে জানে? সেদিন যে বেঁচে গিয়েছিলাম সেটাই অবাক-বিস্ময়।’

ঘটনার সময়ের বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘ফটোগ্রাফাররা আমাকে ছবি তোলার জন্য একটু দাঁড়াতে বলেন। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে গেলো গ্রেনেড হামলা। হানিফ (ঢাকার প্রথম মেয়র মোহাম্মদ হানিফ) ভাই আমাকে টেনে নিচে বসিয়ে দিলো। আমাকে চারদিক থেকে নেতাকর্মীরা ঘিরে ধরলো। গ্রেনেড ট্রাকের ওপর না পড়ে ট্রাকের ডালার সাথে বাড়ি খেয়ে নিচে পড়ে যায়। সমস্ত স্প্লিন্টার হানিফ ভাইয়ের মাথায়। তার সমস্ত গা বেয়ে রক্ত, আমার কাপড়েও এসে পড়েছে। প্রথমে তিনটি গ্রেনেড, তারপর একটু বিরতির পর আবার একটার পর আরেকটা গ্রেনেড মারা হলো। আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত। ঘটনায় ২২ জন মৃত্যুবরণ করে। হাজারের কাছাকাছি নেতাকর্মী আহত হয়। এরমধ্যে ৫০০ জন অত্যন্ত খারাপভাবে আহত হন। এমন একটি পরিবেশ সেখানে কেউ উদ্ধার করতে আসতে পারেনি। যারা উদ্ধার করতে এসেছিল তাদের ওপর টিয়ারগ্যাস ও লাঠিচার্জ করা হয়। আমার প্রশ্ন, কেন এই টিয়ারগ্যাস ও লাঠি চার্জ করা হয়েছিল?’

আলোচনা সভায় উপস্থিত আওয়ামী লীগ নেতাদের দেখিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে অনেক আহত নেতাই বসে আছেন। এখনও যাদের শরীরে সেই স্প্লিন্টার রয়ে গেছে। সেই যন্ত্রণা নিয়ে তাদের বেঁচে থাকতে হয়। আমাদের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের শরীরও ঝাঁঝরা। এখানে অনেকেই আছে, কত নাম বলবো, সবাই আহত। সেদিন সাংবাদিকও আহত হয়। এ ধরনের ঘটনা একটি রাজনৈতিক দলের ওপর করতে পারে, এটা কল্পনাও করা যায় না। কোনোদিন এ ধরনের ঘটনা দেখা যায়নি।’

প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপ করে বলেন, ‘কোনও সভ্য দেশে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ছুটে আসে। আহতদের সাহায্য করে। সেদিন কিন্তু কেউ নেই। আমাদের নেতাকর্মীরা যারা সাহায্যের জন্য ছুটে আসে, তাদের ওপরও পুলিশ উল্টো লাঠিচার্জ শুরু করে। তাদের ওপর টিয়ারগ্যাস মারা শুরু করে। আমি গাড়ি নিয়ে একটু সামনে যেতেই শুনি টিয়ার গ্যাস হামলা। আহত এক নারী কর্মীর স্বামীকে লাথি মেরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই দেশে পুলিশ তো নাগরিকদের সেবা করে। কিন্তু সেদিন তাদের যে ভূমিকা ছিল, সেটাই তো সন্দেহজনক। পরে শুনেছি এখানে ডিজিএফআইয়ের একজন অফিসার কর্মরত ছিল। তিনি ঘটনার পর পুলিশ হেডকোয়ার্টারে ফোন করেন। তাকে ধমক দেওয়া হয় যে তুমি ওখানে কী করছো? শুধু হত্যাকাণ্ড নয়, কোনও আলামত রক্ষা করা হয়নি। ঘটনার পরপরই ওইদিন সিটি করপোরেশনের মেয়র সাদেক হোসেন খোকা লোক পাঠিয়ে সমস্ত আলামত নষ্ট করতে হোসপাইপ দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করতে চায়। আমি শুনে নানককে (জাহাঙ্গীর কবির নানক) বললাম, তোমাদের এখনই যেতে হবে। ওই জায়গাগুলো চিহ্নিত করতে রাখতে হবে। সেখানে গিয়ে লাল পতাকা দিয়ে চিহ্নিত করে রাখো। দুটো গ্রেনেড অবিস্ফোরিত আছে, সেগুলো সংরক্ষণ করা হয়নি। যে সেনা অফিসার পেয়েছিল, তিনি সেটা আলামত হিসেবে রাখার কথা বলেছিলেন। সে কারণে তিনি চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন। অর্থাৎ কোনও আলামত রাখতে দেয়নি। আহতদের নিয়ে হাসপাতালে ছুটে বেড়াচ্ছে আমাদের নেতাকর্মীরা। বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা বন্ধ, সেখানে কোনও রোগী নেওয়া হবে না। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসা সরঞ্জামাদি তালাবদ্ধ করে বিএনপি মানসিকতার চিকিৎসকরা সরে গেছে। কেউ ছুটে আসেনি চিকিৎসা করতে। সিরিঞ্জ, সুচ পাওয়া যাচ্ছিল না। আমাদের ডাক্তাররা ছুটে গিয়ে তালা ভেঙে সরঞ্জাম নিয়ে পরে চিকিৎসা করে। ঢাকা শহরে কত যে চিকিৎসা কেন্দ্র আছে, সেদিনই তা জানতে পারি।’

ঘটনার বর্ণনা করে তিনি আরও বলেন, ‘আমি যখন ৫ নম্বরে (সুধা সদনে) ফিরি, আমার সারা শরীরে রক্ত। রেহানা দেখে স্তব্ধ হয়ে যায়। আমি বলি আমার কিছু হয়নি। আমি চলে এসেছি কিন্তু ওখানে কী অবস্থা আমি জানি না। সেখানে লাশের ওপর লাশ পড়ে আছে। আমি লোক পাঠাই, গাড়ি পাঠাই, যত পারা যায় সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাসার সকলকে পাঠিয়ে দেই।’

তখন খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী, তিনি কী ভূমিকা পালন করেছিলে, সে প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সে (খালেদা জিয়া) কেন বাধা দিলো পুলিশকে? কেন সে কোনও উদ্যোগ নিলো না আলামত রক্ষা করতে। এতে কী প্রমাণ হয়? এই গ্রেনেড হামলার সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে খালেদা, তারেক গং জড়িত; এতে কোনও সন্দেহ নেই এবং তদন্তেও সেটা বেরিয়েছে।’

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সেদিন যে নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল, তার সঙ্গে জিয়াউর রহমান ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল, এটা খুনি রশিদের ইন্টারভিউতে বেরিয়ে এসেছে। জিয়াউর রহমান চেষ্টা করেছিল সবাইকে শেষ করে দিতে। তারও তো দায়িত্ব ছিল, সে তো উপ-সেনাপ্রধান ছিল। সে তো তার ভূমিকা রাখেনি। বরং খন্দকার মোশতাক; খুনি, বেইমান, মোনাফিক, বাংলার আরেক মীর জাফর। সে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে ওই জিয়াউর রহমানকে সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়। কী সখ্য ছিল? যেহেতু বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাথে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিল, সে কারণেই তাকে পুরস্কৃত করেছিল মোশতাক।’

সম্প্রতি একটি মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানের সাজার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে তারা এত অর্থ সম্পদ বানায় যে এফবিআইয়ের অফিসারকে হায়ার করে জয়ের (সজীব ওয়াজেদ জয়) বিরুদ্ধে এবং জয়কে কিডন্যাপ করে হত্যার চেষ্টা করে। আমরা তো জানতেও পারিনি কোনোদিন। জানতে পেরেছি কীভাবে? ওই এফবিআইয়ের অফিসারের বিরুদ্ধে আমেরিকায় মামলা হয় দুর্নীতির জন্য। আর ওই মামলা করতে গিয়ে ওই কোর্টে বেরিয়ে আসে, সে বিএনপির এজেন্টদের থেকে টাকা খেয়েছে, জয়কে কিডন্যাপের চেষ্টা করেছে। সেই মামলার রায়ে বেরিয়ে আসে শফিক রেহমান আর মাহমুদুর রহমানের নাম।’

হত্যা-খুনের রাজনীতিটাই বিএনপি জানে এমন মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘খুনের রাজনীতি করা, মানুষ হত্যা, একটি দলকে নিশ্চিহ্ন বা পরিবারকে হত্যা করা- এই রাজনীতি তো বিএনপি করে। খালেদা জিয়া করে। এটা তো মানুষের কাছে স্পষ্ট। ২১ আগস্ট তো আমাদের চোখের সামনে। বারবারই তো তারা আঘাত হেনেছে। বাংলাদেশে আসার পর থেকেই তো আমার ওপর বারবার হামলা হয়েছে, আমি বারবারই বেঁচে গেছি। জানি না কেন? এটা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন জানেন। কেন বারবার তিনি মৃত্যুর হাত থেকে আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। তারা হত্যার ষড়যন্ত্র করেছে, চক্রান্ত করেছে। যে রাজনৈতিক দলের উত্থান হয়েছে হত্যা ক্যু ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে। তাদের মিথ্যাচার মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য। তাদের হাতে তো রক্ত।’