শিক্ষা-সংস্কৃতি

আইডিয়াল স্কুলের আঙিনায় যেতে পারবেন না ছাত্রীকে বিয়ে করা মুশতাক: চেম্বার আদালত

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য মুশতাকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন চেম্বার জজ আদালত। তবে আদালত বলেছেন, মুশতাক গভর্নিং বডির কোনও কর্মকাণ্ডে কিংবা মিটিংয়ে অংশ নিতে পারবেন না এবং স্কুলের সীমানায় যেতে পারবেন না।

সোমবার (২১ আগস্ট) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ সাইফুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ২০ আগস্ট আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ১৬ আগস্ট রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা কমিটির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলায় জামিন না দিয়ে আবেদন ফেরত দেন এক হাইকোর্ট বেঞ্চ।বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান এবং বিচারপতি খন্দকার দীলিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

পরে গত ১৭ আগস্ট মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য ৬০ বছর বয়সী খন্দকার মুশতাক আহমেদকে বিয়ে করা প্রতিষ্ঠানটির ছাত্রীকে নিরাপদ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বিয়ের সময় মেয়েটি প্রাপ্তবয়স্ক ছিল কিনা সেজন্য একজন রেডিওলজিস্টের অধীনে পরীক্ষার করে অধস্তন আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। পাশাপাশি মামলার আসামি মুশতাককে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন দেন আদালত।

মুশতাকের আগাম জামিন আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি শেখ জাকির হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন।

আদালতে জামিনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা। বাবার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান লিখন।

এরপর হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে মেয়ের বাবা চেম্বার জজ আদালতে আপিল আবেদন জানান।

প্রসঙ্গত, গত ১ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে কলেজছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদকে প্রধান আসামি করা হয়। যিনি ওই ছাত্রীকে বিয়ে করেছেন। এই মামলায় হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদী। শুনানির শুরুতে একটি হুইল চেয়ারে করে আদালতে হাজির হন অধ্যক্ষ। শুনানি শেষে হাইকোর্ট অধ্যক্ষের আগাম জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। অধ্যক্ষের আগাম জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১৪ আগস্ট বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।