Lead

আদানির দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু

তীব্র লোডশেডিংয়ের মধ্যে আদানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট পরীক্ষামূলক উৎপাদনে এসেছে। ভারতের ঝাড়খন্ডের গোড্ডা এলাকায় ভারতের বৃহৎশিল্প গ্রুপ আদানি ১৫০০ মেগাওয়াটের ওই বিদ্যুৎকেন্দ্র করেছে। এরমধ্যে ৭৫০ মেগাওয়াটের একটি গত মে মাসে বাণিজ্যিক উৎপাদনে এসেছে। ৭৫০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বৃহস্পতিবার (৮ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ ‍শুরু হয়।

ভারতের ঝাড়খন্ড থেকে আসা বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন নির্মাণের কাজ শেষ হলেও বাংলাদেশ অংশের কাজ এখনো শেষ না হওয়ায় ১৫০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার আদানির কেন্দ্রটি পুরোপুরি চালু করা যাচ্ছে না। ফলে ১ হাজার ৫০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ নিতে পারবে না বাংলাদেশে সঞ্চালন লাইন নির্মাণের দায়িত্বে থাকা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)।

এ বিষয়ে পিজিসিবি মুখপাত্র এ বি এম বদরুদ্দোজা খান বলেন, ‘আদানির বিদ্যুৎ পরীক্ষামূলকভাবে সরবরাহ শুরু হয়েছে। যন্ত্রপাতি পরীক্ষা করা হচ্ছে। যেহেতু তাদের দুটি ইউনিট রয়েছে, প্রতিটি ইউনিটের ক্ষমতা ৭৪০ মেগাওয়াট করে। এখন তারা ৭৫০ মেগাওয়াট করে সরবরাহ করছে।’

আদানির একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা ইচ্ছে করলেই এখন ১৫০০ মেগাওয়াট দিতে পারি। আমাদের কেন্দ্র পুরোপুরি প্রস্তুত। কিন্তু পিজিসিবির সঞ্চালন লাইন নির্মাণ শেষ না হওয়ায় এখন ১ হাজার ৫০ মেগাওয়াটের বেশি দিতে পারছি না। বৃহস্পতিবার বিকেল সারে চারটার দিকে আদানির ৭৫০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে। প্রথমে এটি ৭০ থেকে ৮০ মেগাওয়াট সরবরাহ করলেও সন্ধ্যা ও রাতে আরও বেশি বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।’

জ্বালানির অভাব ও দাবদাহের কারণে দেশে তীব্র লোডশেডিং শুরু হয়েছে। বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে ১৭ হাজার মেগাওয়াটের পৌঁছেছে। তবে দেশের কোথাও কোথাও বৃষ্টি হওয়ায় চাহিদা নেমে পিক আওয়ারে (সন্ধা ৭ টা থেকে রাত ১১টা) ১৬ হাজার মেগাওয়াটে ঠেকেছে। এই সময় আদানির দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদনে আসায় স্বস্তি এসেছে বিদ্যুৎ বিভাগের।

আদানির বিদ্যুৎ ভারতের ঝাড়খন্ড থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর দিয়ে বগুড়া হয়ে আনার জন্য সঞ্চালন লাইন করা হয়েছে। গত বুধবার বিকাল পৌনে ৩টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর এলাকায় সঞ্চালন লাইন ‘ট্রিপ’ করলে আদানি পাওয়ারের বিদ্যুৎ আসা বন্ধ হয়ে যায়। ১৩ ঘন্টা পর বৃহস্পতিবার ফের লাইনটি সচল করা সম্ভব হয়।

কয়লার অভাবে ২৫ মে দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র পায়রার ৬৬০ মেগাওয়াটের একটি ইউনিট বন্ধ হয়ে যায়। দ্বিতীয় ইউনিটটি গত সোমবার দুপুরে বন্ধ হয়ে যায়। এটি ২৫ জুনের আগে চালু হবে না, কারণ এর আগে পায়রা কেন্দ্রে কয়লা ইন্দোনেশিয়া থেকে পৌঁছাবে না।