শিক্ষা-সংস্কৃতি

নিয়োগ কলঙ্কমুক্ত করার প্রত্রিয়া শেষ না হতেই ডিজির মেয়াদ শেষ

 

 

প্রাথমিক শিক্ষোর মানোন্নয়নের উদ্যোগ ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী নিয়োগ নিয়ে তদবির ও অচ্ছতার অভিযোগ ও নিয়োগ কলঙ্কমুক্ত করার প্রক্রিয়া চলার মধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকের (ডিজি) চাকরির মেয়াদ শেষ। মঙ্গলবার (১৪ জুন) মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত সচিব আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলমের চাকরির শেষ দিন ছিলো।

 

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তিন ধাপের লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়েছে। দুই ধাপের ফলাফলও প্রকাশ হয়েছে। তবে মৌখিক পরীক্ষা এখনও বাকি রয়েছ। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান থাকাকালে মহাপরিচালকের চাকরির মেয়াদ শেষ শেষ হওয়ায় নিয়োগে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।  এছাড়া মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার বিভিন্ন উদ্যোগ ভবিষ্যতে আর এগুবে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

 

জানতে চাইলে চাকরির শেষ দিন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, ‘যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যে সব প্রক্রিয়া নেওয়া আছে তা বাস্তবায়ন করা হলেই নিয়োগ স্বচ্ছ হবে।  পরবর্তী যিনি আসবেন তিনি নিশ্চয় ভালো পদক্ষেপ নেবেন। স্বচ্ছতার এই ধারা অব্যাহত রেখে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়নের ধারা বাজায় রাখবেন। ‘

 

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৪ জুন) শেষ দিন পর্যন্ত নিয়োগ স্বচ্ছ করতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেন।  মৌখিক পরীক্ষায় যাতে কোনও তদবিরের সুযোগ না থাকে, মৌখিক পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে আসা বন্ধ করা, লিখিত পরীক্ষা চলাকালে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ব্যবস্থা নেওয়া, ডিজিটাল ডিভাইজ ব্যবহার করে অসৎ উপায় অবলম্বনের চেষ্টায় মামলা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় গ্রেফতার অভিযান পরিচালনাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন।  মৌখিক পরীক্ষা কমিটিতে স্থানীয় বেসরকারি প্রতিনিধি থাকায় তদবির ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ার পুরানা অভিযোগ থেকে পরীক্ষা কলল্কমুক্ত করার উদ্যোগ নেন তিনি। স্থানীয় বিদ্যুৎসাহী প্রতিনিধি বাদ দিয়ে মৌখিক পরীক্ষার কমিটিকে সরকারি দায়িত্বশীল কর্মকর্তাকে সদস্য রাখরার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এই উদ্যোগগুলোর বাস্তবায়ন যথাযথ হলে কলঙ্কমুক্ত স্বচ্ছ নিয়োগ সম্ভব হবে বলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর থেকে দাবি করা হয়েছে।  কিন্তু এই নিয়োগ শেষ হওয়ার আগেই মঙ্গলবার (১৪ জুন) চাকরি মেয়াদ শেষ হয় তার।

 

অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, বিভাগীয় প্রার্থীতা বহাল রাখা ও সহকারী শিক্ষকদের কোটা ৫০ থেকে ৮০ শতাংশে উন্নীত করার প্রস্তাব সরকারের কাছে পাঠানো, সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য পদ সৃষ্টির প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন সদ্য বিদায়ী এই কর্মকর্তা। এছাড়া ইএফটির মাধ্যমে বেতন প্রাপ্তির সমস্যা সমাধানসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেন তিনি। ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় দক্ষ শিক্ষক তৈরির প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। মহাপরিচালক হয়েও নিজে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে দফায় দফায় পরিদর্শন, উদ্যোগ নেন এই কর্মকর্তা।

 

অনলাইনে শিক্ষক বদলির সফটওয়ার প্রস্তুত করার পর শিক্ষক বদলির উদ্যোগ ২০২১ সালের শুরুর দিকে। যদিও মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ না পাওয়ায় অনলাইনে শিক্ষক বদলি শুরু করতে পারেনি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। তবে করোনার সময় বন্ধ রাখা নীতিমালা অনুযায়ী নিয়মিত শিক্ষক বদলি কার্যক্রম গত ১৩ জুন উন্মুক্ত করে দেন আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম।