শিক্ষা-সংস্কৃতি

আগামী বছর থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাপ্তাহিক ছুটি ২ দিন

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাপ্তাহিক ছুটি দুদিন ঠিক রেখেই জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। রূপরেখা অনুযায়ী ২০২৩ সাল থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুদিন ছুটি থাকবে। অন্যদিকে প্রাথমিকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষাও থাকছে না অনুমোদিত রূপরেখা অনুযায়ী।

সোমবার (৩০ মে) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির (এনসিসিসি) যৌথ সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। এর গত বছর সেপ্টেম্বরে নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখাটি নীতিগত অনুমোদন দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

যৌথ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলমসহ এনসিসিসির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এনসিসিসির এক সদস্য বলেন, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরে বিস্তারিত শিক্ষাক্রম অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। যদিও ইতিমধ্যেই মাধ্যমিক স্তরের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পাইলটিং শুরু হয়েছে নতুন শিক্ষাক্রমের।

মাধ্যমিকে এ বছর পাইলটিং শেষে আগামী বছর থেকে বিভিন্ন শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম পর্যায়ক্রমে চালু হবে। এর মধ্যে নতুন শিক্ষাক্রমে ২০২৩ সালে চালু হবে প্রথম, দ্বিতীয়, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণি। ২০২৪ সালে চালু হবে তৃতীয়, চতুর্থ, অষ্টম ও নবম শ্রেণি। ২০২৫ সালে চালু হবে পঞ্চম ও দশম শ্রেণি। আর ২০২৬ সালে চালু হবে উচ্চমাধ্যমিকের একাদশ শ্রেণি এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে চালু হবে ২০২৭ সালে।

নতুন শিক্ষাক্রমে বিদ্যমান পরীক্ষা ব্যবস্থার বদলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিক মূল্যায়ন বেশি থাকবে। প্রাথমিকের তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনও পরীক্ষা হবে না। চলবে ধারাবাহিক মূল্যায়ন।

নতুন শিক্ষাক্রমে বদলে যাবে এসএসসি-এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ব্যবস্থা। শুধু দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে নেওয়া হবে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে দুটি পাবলিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। বোর্ডের অধীনে হবে এই দুই পরীক্ষা। এরপর এই দুই পরীক্ষার ফলের সমন্বয়ে এইচএসসির ফল চূড়ান্ত করে প্রকাশ করা হবে।

নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখা অনুযায়ী নতুন শিক্ষাক্রমে এখন থেকে শিক্ষার্থীরা দশম শ্রেণি পর্যন্ত অভিন্ন সিলেবাসে পড়বে। থাকবে না শিক্ষার্থী বিজ্ঞান, মানবিক না বাণিজ্য বিভাগ বিভাজন।

নতুন শিক্ষাক্রমে প্রাক-প্রাথমিক থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ভাষা ও যোগাযোগ, গণিত ও যুক্তি, জীবন ও জীবিকা, সমাজ ও বিশ্ব নাগরিকত্ব, পরিবেশ ও জলবায়ু, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, তথ্য ও যোগাযোগ-প্রযুক্তি, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষা, মূল্যবোধ ও নৈতিকতা এবং শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয় থাকবে। প্রাক-প্রাথমিকের শিশুদের জন্য আলাদা বই থাকবে না।