Lead

প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা মামলায় হুজি নেতা মুফতি আব্দুল হাই গ্রেফতার

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ২০০০ সালে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টা ও ২০০১ সালে রমনা বটমূলে বোমা হামলার মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া পলাতক আসামি জঙ্গি সংগঠন হুজিবি’র প্রতিষ্ঠাতা আমির মুফতি আব্দুল হাইকে (৫৭) গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

বুধবার (২৫ মে) রাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা হাজীগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৬ মে) র‍্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন রাজধানীর কাওরান বাজার মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে জনসভা চলাকালীন গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। মুফতি আব্দুল হাই সেই গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত ছিল। সেই মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাকে। ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে জঙ্গিরা গ্রেনেড হামলা চালিয়ে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়াসহ পাঁচ জনকে হত্যা করে। সেই মামলায় চার্জশিটভুক্ত পলাতক আসামি ছিল আব্দুল হাই। তার বিরুদ্ধে সাতটি গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, গ্রেফতার মুফতি আব্দুল হাই ‘জাগো মুজাহিদ’ নামে মাসিক পত্রিকার সম্পাদক ছিল। ২০০০ সালে পত্রিকাটি সরকার নিষিদ্ধ করে। পরে মুফতি আব্দুল হাইকে ২০০০ সালে পত্রিকার অফিস থেকে গ্রেফতার করা হয় এবং দুই মাস কারাভোগ শেষে সে জামিনে মুক্ত হয়।

জঙ্গিবাদী ঘটনার সঙ্গে হরকাতুল জিহাদের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসলে ২০০৬ সালের পর মুফতি আব্দুল হাই আত্মগোপনে চলে যায়। তার পরিবার তখন নারায়ণগঞ্জে থাকতো। কুমিল্লার গৌরীপুর বাজারে শ্বশুরের কেরোসিন ও সয়াবিন তেলের ডিলারশিপের ব্যবসা ছিল। ২০০৯ সাল থেকে সেখানে আত্মগোপনে ছিল আব্দুল হাই। আত্মগোপনে থাকার সময় সে মাঝেমধ্যে নারায়ণগঞ্জ আসতো। সে তার এবং তার পরিবারের সকলের ঠিকানা পরিবর্তন করে নারায়ণগঞ্জে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। স্থানীয় এলাকাবাসী যেন তাদের পরিচয় জানতে না পারে সেজন্য ঘর থেকে খুব কম বের হতো। নজর এড়াতে তার বর্তমান ঠিকানার বাসাটি এলাকার লোকজনদের কাছে তার বড় ছেলের বাসা হিসেবে পরিচিত করে তোলা হয় বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।