পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান দুপুর ২টা পর্যন্ত
পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান বেলা ২টা পর্যন্ত করার কথা জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘রমজানের কারণে আমরা এবারের অনুষ্ঠানটি দুপুর ২টা পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দুপুর ১টার দিকে রমনার সব প্রবেশ গেট বন্ধ করে দেওয়া হবে। কেবল বের হওয়ার গেট দিয়ে মানুষ বের হতে পারবে। আমরা ২টার পর পার্ক এলাকায় কাউকে থাকতে দেবো না।’
মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে রমনা পার্কে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘রমজানের পর যখন আবার পহেলা বৈশাখ শুরু হবে, তখন বিকাল ৫টা পর্যন্ত করা যাবে।’
রমনা পার্ক ও বটমূল এলাকার নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পুরো এলাকাটি সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। রমনা এলাকায় প্রবেশের বিভিন্ন সড়ক ও গেটে আমাদের তল্লাশি চৌকি ও আর্চওয়ে থাকবে, পার্কে ওয়াচ টাওয়ার, বোম্ব ডিসপোজাল টিম, ডগ স্কোয়াড, ডুবুরি দল ও ফায়ার সার্ভিস থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময় ২০০১ সালের হামলার ঘটনাটি মাথায় রেখে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা সাজিয়ে থাকি। যাতে কোনোধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। বড় ধরনের গ্যাদারিং হলে সেখানে ইভটিজিংয়ের ঘটনা ঘটে, এ জন্য আমাদের সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে থাকবেন।’
ভুভুজেলাসহ উচ্চশব্দের কোনও উপকরণ নিয়ে মঙ্গলশোভা যাত্রায় অংশগ্রহণ না করার অনুরোধ জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন, ‘মঙ্গল শোভাযাত্রাটি আমাদের সদস্যদের বেরিকেডের মধ্যে থাকবে। সবাইকে তল্লাশি করে মঙ্গল শোভাযাত্রায় ঢোকানো হবে। হঠাৎ করে কেউ বাইরে থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রায় প্রবেশ করতে পারবে না।’
সবাইকে রমনা পার্কে নির্দিষ্ট গেট দিয়ে প্রবেশ ও বের হতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠান দুপুর ২টা পর্যন্ত করার কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখানে যেসব আইনশঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন, তাদের ৯০ শতাংশ রোজা থাকবেন। অনুষ্ঠানস্থলকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বড় একটি অংশের যান চলাচল বন্ধ থাকবে, এতে সাধারণ যাত্রীরা যানজটে পড়ে হয়রান হবেন। সে জন্য ২টার পর আমরা কোনোভাবেই অনুষ্ঠানের কর্মসূচি অ্যালাউ করবো না।’
কমিশনার বলেন, ‘যেকোনও অনুষ্ঠানের একটা শুরু আছে, তেমন শেষও আছে। ছায়ানটের অনুষ্ঠান সকাল ১১টার মধ্যে শেষ হয়ে যায়। তারপর মানুষ এখানে কী জন্য আর বসে থাকবে?’