Leadসব সংবাদ

করোনায় দেশে ৯ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন মৃত্যু

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। যা গত প্রায় নয় মাসের মধ্যে করোনায় সর্বনিম্ন মৃত্যু।

এর আগে দেশে সর্বশেষ গতবছরের ৫ মে করোনায় এক জনের মৃত্যু হয়। আর ৮ মে সাতজনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে। এ নিয়ে দেশে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে আট হাজার ৯৪ জনের। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৪৫৪ জন। সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৩৪ হাজার ৪০৭ জনে।
বৃহস্পতিবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪১৪ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৭৮ হাজার ৯৬০ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২০৪টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১১৬টি, জিন-এক্সপার্ট ২৮টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৬০টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৪ হাজার ৬৩৩টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ৮৩০টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৬ লাখ ১৫ হাজার ৫০৮টি। ২৪ ঘণ্টায় মৃত সাতজনের মধ্যে ছয় জন পুরুষ ও নারী একজন। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে তিনজন এবং চট্টগ্রামে দুইজন, রাজশাহী ও খুলনায় একজন করে মারা গেছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে ছয়জন এবং বাড়িতে একজন মারা গেছেন।

মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে পাঁচজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৬৯ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১০১ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৯৯ হাজার ২৪ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৮৮ হাজার ৫০৪ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১০ হাজার ৫২০ জন।

এদিকে গত বুধবার (২৭ জানুয়ারি) থেকে দেশে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কার্যক্রমের প্রথমদিন ২৬ জনকে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। আর ভ্যাকসিন কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর পাঁচটি হাসপাতালে মোট ৫৪১ ব্যক্তিকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে।

আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভ্যাকসিন কার্যক্রম বন্ধ রাখা হবে। এ কয়েকদিন ভ্যাকসিন নেওয়া ব্যক্তিদের পর্যবেক্ষণ করা হবে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে আবার ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হবে।