‘ভাস্কর্যের নান্দনিকতা, ঐতিহ্য ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে এক চুলও ছাড় নয়’
‘ভাস্কর্যের নান্দনিকতা, ঐতিহ্য ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে এক চুলও ছাড় নয়’
‘ভাস্কর্যের নান্দনিকতা, ঐতিহ্য ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে এক চুলও ছাড় নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন কারিগরি শিক্ষা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। রবিবার (১৩ ডিসেম্বর) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙ্গার প্রতিবাদে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে এ কথা বলেন তারা।
সমাবেশে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. মোরাদ হোসেন মোল্ল্যা সভাপতিত্ব করেন। বোর্ডের উপ পরিদর্শক বিজয কুমার ঘোষ সঞ্চলনা করেন।
প্রতিবাদ ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়াম্যান এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সকল কর্মকর্তা/কর্মচারী বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য ভাঙ্গার প্রতিবাদ জানান।
বোর্ডের সচিব ড. মো. জাহেদুল হাসান কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য ভাঙ্গার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করেন।
সমাবেশে পরিচালক (আইটিসি) অধ্যাপক মামুন উল হক বলেন যে, ‘১৯৭১ এ ধর্মের দোহায় দিয়ে বুদ্ধিজীবিদের হত্যা করা হয়েছিল। এখনও স্বাধিনতা বিরোধিরা ধর্মের নামে ভাস্কর্য ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সাংস্কৃতির বিরোধিতা করছেন।’
উপপরিচালক মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘মৌলবাদী জঙ্গিগোষ্ঠি, রাজাকার, আলবদর, আলসামস্ ৭১ এ গণহত্যার সাথে জড়িত ছিল। তাদের প্রেতাত্তারা এখন প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন দেখে ঈর্ষান্নিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার স্পর্ধা দেখিয়েছে। আমরা ধর্মের বিরুদ্ধে নই, কিন্তু আমরা ভাস্কর্যের নান্দনিকতা, ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে এক চুলও ছাড় দিতে রাজি নই। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একই সুত্রে গাথা। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙ্গা আর বাংলাদেশের ওপর আঘাত করা একই কথা।’
সমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন, উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আবুল শাহিন কাওছার সরকার, কারিকুলাম বিশেষজ্ঞ মো. আব্দুল কাইউম, কম্পিউটার অপারেটর মো. আব্দুল বাসেত ও অফিস সহকারী মো. নাজমুল ইসলাম।