সব সংবাদস্পটলাইট

বঙ্গবন্ধু কর্নারের বই নিয়ে জালিয়াতি: তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

বঙ্গবন্ধুর নামের বইয়ের মেধাস্বত্ব চুরি ও গ্রন্থস্বত্ব জালিয়াতির ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিবকে প্রধান করে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হককে এই তদন্ত করতে বলা হয়েছে। এক মাসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট আদালতে দাখিল করতে হবে।

বুধবার (০২ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন।

এর আগে গত ৩১ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর নামের বইয়ের মেধাস্বত্ব চুরি ও গ্রন্থস্বত্ব জালিয়াতির ঘটনায় একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে বঙ্গবন্ধুর নামের বইয়ের মেধাস্বত্ব চুরি ও গ্রন্থস্বত্ব জালিয়াতির ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়। সে সময় ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইয়েদুল হক সুমন এ রিট দায়ের করেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, মুজিববর্ষে দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’-এর জন্য যে আটটি বই কেনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে, তার মধ্যে তিনটি বই নিয়েই জালিয়াতি করার অভিযোগ উঠেছে নাজমুল হোসেন নামে এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। ‘বঙ্গবন্ধু মানেই স্বাধীনতা’ এবং ‘৩০৫৩ দিন’ বইটির পাশাপাশি অধ্যাপক নাসরিন আহমদ সম্পাদিত ‘অমর শেখ রাসেল’ বইটিরও মেধাস্বত্ব চুরি করে মোটা অঙ্কের টাকায় বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ‘জার্নি মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড’ ও ‘স্বাধীকা পাবলিশার্স’ নামে দুটি প্রকাশনা সংস্থার মালিক নাজমুল হোসেনের বিরুদ্ধে।

গত ৩১ আগস্ট ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘অবাক করা বিষয় হলো এই দুর্নীতি করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর নামের বই দিয়ে। এটা কি সহ্য করা যায়।’