Leadসব সংবাদ

বাংলাদেশকে নিয়ে যেতে চাই উচ্চ আসনে: প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা জার্নাল: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশকে নিয়ে যেতে চাই উচ্চ আসনে, যেন বিশ্বদরবারে প্রতিটি বাঙালি মাথা উঁচু করে চলতে পারে। ২০১৭ ও ২০১৮ সালের ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’ প্রদান শেষে তিনি এ কথা বলেন।

রবিবার (৮ ডিসেম্বর) বিকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিজয়ীদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যের শুরুতে পুরস্কার বিজয়ী শিল্পী ও কলাকুশলীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, চলচ্চিত্রের মাধ্যমে একটা সমাজকে জানা যায়, তেমনি সমাজের কাছে বিশেষ কোনও বার্তাও পৌঁছাতে হলে চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তা সহজে পৌঁছানো যায়। চলচ্চিত্র সমাজকে সংস্কার করতে পারে, কলুষমুক্ত করতে পারে। আবার কখনও কখনও অপসংস্কৃতি সমাজকে নষ্ট করতে পারে। তাই সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে দেন তিনি।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতাসহ মুক্তিযুদ্ধে সব শহীদের প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্কুলজীবন থেকে বাঙালির শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করেছেন। অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তির সঙ্গে সঙ্গে সাংস্কৃতিক মুক্তির কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু। এ সময় তিনি বাঙালির শোষিত-বঞ্চিত হওয়ার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস বর্ণনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তান চলচ্চিত্র সংস্থা উন্নয়ন বিল ১৯৫৭ সংসদে উপস্থাপন করেন এবং সেটি পাস হয়। এর মাধ্যমে এফডিসি প্রতিষ্ঠিত হয়। এছাড়া নানা কর্মসূচি ও পদক্ষেপ নেন। শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির উন্নয়নে তিনি কাজ করেন। এবং তিনি যে সংবিধান দিয়েছেন, সেখানেও সব ধরনের অধিকারের নিশ্চয়তা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী এসময় বর্ণনা করেন, কীভাবে ’৭৫-এর হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অঙ্গনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তিনি বলেন, সাংস্কৃতিক জগতে অপসংস্কৃতি নেমে আসে। পরিবার-পরিজন নিয়ে সিনেমা দেখার অবস্থাটাও নষ্ট হয়ে যায়। তবে সেই অশুভ জায়গা থেকে আমরা ধীরে ধীরে বেরিয়ে এসেছি।
এজন্য সাংস্কৃতিক জগতের প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন অনেক বেশি সমাজসংস্কারমূলক ও আবেদনমূলক চলচ্চিত্র নির্মাণ হয়। তবে ডিজিটাল যুগের কারণ জেলা-উপজেলার হলগুলো চালু থাকতে পারছে না।
তিনি তার সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলোর কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি নিজেও এ ব্যাপারে হলমালিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন।
তিনি বলেন, মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ছে। তাদের জন্য বিনোদনের ব্যবস্থা করতে হবে। এ জন্য মফস্বলের সিনেমা হলগুলোর দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। হলগুলোকে ডিজিটাইজড করার প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, এ জন্য সরকারের তরফে যা যা করা দরকার তা করা হবে। এরই মধ্যে চলচ্চিত্র নীতিমালা ২০১৭, যৌথ প্রযোজনা নীতিমালা ২০১৭ প্রণয়ন করা হয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৬টি যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্র হয়েছে বলে জানান তিনি।

ঢাকা জার্নাল, ডিসেম্বর ৮, ২০১৯