Leadসব সংবাদ

দিয়া-রাজীবের মৃত্যু: দুই চালকসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন

ঢাকা জার্নাল: রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী দিয়া-রাজীবের মৃত্যুর ঘটনায় দুই বাসের চালকসহ তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে জাবালে নূর পরিবহনের মালিক জাহাঙ্গীর আলম ও বাসের সহকারী এনায়েত হোসেনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

রোববার (০১ ডিসেম্বর) বিকেল তিনটার দিকে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জাবালে নূর পরিবহনের দুই চালক মাসুম বিল্লাহ ও জুবায়ের সুমন এবং এক বাসের সহকারী কাজী আসাদ। কাজী আসাদ পলাতক থাকলেও বাকি দুইজন কারাগারে রয়েছেন।

দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গত ৭ অক্টোবর উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের মাধ্যমে বিচারকাজ শেষ হয়। ওইদিনই এ মামলার রায়ের জন্য ১ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।

এ মামলার মোট আসামি ছিলেন ছয়জন। এর মধ্যে জামিনে থাকা জাবালে নূর পরিবহনের আরেক মালিক শাহাদাত হোসেনের মামলা উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত আছে।

২০১৮ সালের ২৯ জুলাই দুপুরে জাবালে নূর পরিবহনের দুই বাসের চালকের রেষারেষিতে একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিমানবন্দর সড়কে র‌্যাডিসন হোটেল সংলগ্ন সড়কে অপেক্ষামাণ শিক্ষার্থীদের ওপর উঠে যায়।

এতে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম ওরফে রাজীব (১৭) এবং একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম ওরফে মিমের (১৬) মৃত্যু হয়। আহত হন আরও অনেকে।

পরে ঘটনার দিন রাতেই নিহত শিক্ষার্থী দিয়া খানমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করেন।

২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কাজী শরিফুল ইসলাম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

আদালত তা আমলে নিয়ে ওই বছরের ২৫ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। এরপর বিচার প্রক্রিয়ায় ৪১ সাক্ষীর মধ্যে ৩৭ জন তাদের সাক্ষ্য দিয়েছেন।

সবশেষ গত ৭ অক্টোবর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ১ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।

রাজিব ও দিয়ার মৃত্যুর পর সারাদেশে সপ্তাহ খানেক নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীরা নজিরবিহীন আন্দোলন গড়ে তোলে। এতে কার্যত অচল হয়ে পড়ে দেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। সব দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে আন্দোলন থেকে সরে যায় শিক্ষার্থীরা।