Leadসব সংবাদ

বিয়ার উন্মুক্ত করার আলোচনা মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে

এস এম আববাস: মাদকের অবৈধ ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে বিকল্প খুঁজছে সরকার। আর সে কারণে বিয়ার উন্মুক্ত করা যায় কিনা তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে আইন-শৃঙ্খলাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে। বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

বিয়ার উন্মুক্ত করার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা জানতে চাইলে আইন-শৃঙ্খলাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সদস্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আলোচনা পর্যন্তই। কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ওয়াইন ও বিয়ার বিক্রির লাইসেন্স রয়েছে। বারে ওয়াইন নিষিদ্ধ নয়। অন্তত বিয়ার উন্মুক্ত করলে ইয়াবাসহ বিভিন্ন ভয়ঙ্কর নেশা থেকে মানুষ দূরে থাকবে। এ কারণে বিয়ার উন্মুক্ত করা যায় কিনা তা নিয়ে ভাবা প্রয়োজন।

বৈঠক সূত্রে আরও জানা গেছে, নির্দিষ্ট জায়গা ছাড়া বিয়ার ও ওয়াইন নিষিদ্ধ থাকলেও তা কেউ মানছে না। চুরি করে অনেকেই এর আশ্রয় নিচ্ছে। সেসব দিক বিবেচনা করে বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, ধর্মীয়ভাবে বিষয়টি নিয়ে কোনও পক্ষ নেতিবাচক দৃষ্টিতে নিতে পারে। সে কারণে সাবধানতার সঙ্গেই আইন-শৃঙ্খলা কমিটি এ বিষয়টি বিবেচনা করবে। সূত্রটি জানায়, কমিটির বৈঠকে কেউ কেউ বিয়ার উন্মুক্ত করলে ইয়াবাসহ ভয়ঙ্কর নেশা থেকে মানুষ সরে আসবে বলে মন্তব্য করেন।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, দেশে মাদকের প্রবেশ বন্ধে সীমান্তের ৩২টি পয়েন্টে টহল জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ডসহ যৌথ টহল জোরদার করা হবে। মিয়ানমার থেকে ইয়াবাসহ বিভিন্ন সীমান্তে পথে যেন কোনও মাদ্রক আসতে না পারে সে কারণে কঠোর নজরদারি করা হবে।

দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আইন-শৃঙ্খলাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর কমিটির সভাপতি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। দেশব্যাপী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মাদকবিরোধী, নারী নির্যাতনবিরোধী বহু সমাবেশ হয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অত্যন্ত তৎপর আছে।’ সৌজন্যে বাংলা ট্রিবিউন।

ঢাকা জার্নাল, নভেম্বর ৭, ২০১৯