ঘূর্ণিঝড় ফণী: ঝুঁকিতে লাখ লাখ শিশু, ওয়ার্ল্ড ভিশনের সতর্কতা
মে ২, ২০১৯
ঢাকা জার্নাল : ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র কারনে বাংলাদেশ ও ভারতের উপকূলীয় এলাকার লাখ লাখ পরিবার এবং শিশু ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে সতর্ক করেছে মানবিক সহায়তা সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন। ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর বলেছে, ১৯৭৬ সালের পর ভারত মহাসাগরীয় এলাকায় এপ্রিল মাসে সৃষ্ট সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণী।
শুক্রবার (৩ মে) সন্ধ্যা নাগাদ ঝড়টি বাংলাদেশে আঘাত হানতে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, গত ১০ বছরের মধ্যে শক্তিশালী ঝড় হবে এই ফণী। বর্তমানে এর গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার। ভারতের উড়িষ্যা উপকূল দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করে দেশটির পূর্বাঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে ঘূর্ণিঝড়টি।
মানবিক সহায়তা সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের ন্যাশনাল ডিরেক্টর ফ্রেড উইট্টেভেন বলেন, ‘বিশ্বের এই এলাকায় বছরের এই সময়ে বহু বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণী। এর কবলে পড়তে পারে লাখ লাখ মানুষ। আমরা উপকূলীয় এলাকায় বসবাসরত পরিবার এবং শিশুদের নিয়ে মারাত্মক উদ্বিগ্ন। উপকূলীয় এলাকায় বাতাস সবচেয়ে জোরালো হতে পারে আর নিম্নাঞ্চলে বসবাসরতরা আকস্সিক বন্যা ও ভূমিধ্বসের কবলে পড়তে পারে’।
ওয়ার্ল্ড ভিশনের তরফে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারত নিয়োজিত তাদের জরুরি কর্মীরা অন্য বেসরকারি সংস্থাগুলোর সাথে সমন্বয় করে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ভারতে ওয়ার্ল্ড ভিশনের কর্মকর্তা ফ্রাঙ্কলিন জোনস বলেন, তাৎক্ষনিক বরাদ্দ এবং জরুরি ত্রাণ সামগ্রি প্রস্তুত করা হয়েছে। যেসব এলাকায় ওয়ার্ল্ড ভিশনের কর্মসূচী চলমান রয়েছে তাদের সতর্ক করা হয়েছে। আর স্থানীয় পর্যায়ে দুর্যোগ প্রস্তুতি পরিকল্পনা কার্যকর করা হয়েছে।
ওয়ার্ল্ড ভিশনের প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার মানবিক ও জরুরি পরিস্থিতি বিষয়ক পরিচালক মেইমেই লিয়াং বলেন, প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকা বিশ্বের সবচেয়ে দুর্যোগ প্রবণ এলাকা এবং এখাণকার লাখ লাখ শিশু ঝুঁকিতে রয়েছে। সেকারণে আমরা মনে করি দুর্যোগ প্রস্তুতি ও জলবায়ু সচেতনতা বৃদ্ধি এই অঞ্চলের জন্য এতটা গুরুত্বপূর্ণ।
ঢাকা জার্নাল, মে ২, ২০১৯।